কোভিডকালে যে দাওয়াইয়ের উপর সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছেন মানুষ, তা হল নুন-জলে গার্গল। টিকার পাশাপাশি এই পন্থায় ভরসা রেখে উপকারও পেয়েছেন মানুষ। তবে কোভিডের পর কেবল সর্দি-কাশি হলে কিংবা গলা ব্যথা হলে গার্গল করার কথা মনে পড়ে। তবে শুধু সর্দি-কাশি নিরাময়, নুন-জলে গার্গল করার আরও অনেক উপকার আছে। সামনেই আসছে শীতের মরসুম। মরসুম বদলের সময় রোগবালাই ঠেকিয়ে রাখতে গার্গল কিন্তু বেশ কার্যকর। জেনে নিন, ঠান্ডা না লাগলেও কেন দিনে অন্তত এক বার গার্গল করা উচিত।
১) দাঁতের সমস্যা দূর হয়: নুন-জলে নিয়মিত গার্গল করে দাঁতের ক্ষয় আটকাতে পারেন। নুনে থাকে বেশ কিছু খনিজ, যা দাঁতের জন্য উপকারী। সেই সঙ্গে দাঁতের একেবারে উপরের স্তর, এনামেলের ক্ষতিও রোধ করে, সে দিকেও নজর রাখে। দাঁতের ব্যথা হলেও এই টোটকা মেনে চললে আরাম মেলে।
২) ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে: কেবল মরসুম বদলের সময়েই নয়, দূষণের কারণেও ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটে। দিনে তিন থেকে চার বার নুন-জল দিয়ে গার্গল করলেই সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। সঙ্গে নানা ধরনের ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ফুসফুসের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও আর থাকবে না।
৩) টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমবে: মাঝেমাঝেই কি টনসিলের যন্ত্রণায় কষ্ট পান? তা হলে নিয়মিত নুন-জল দিয়ে গার্গল করুন। ব্যাক্টেরিয়া অথবা ভাইরাল সংক্রমণের কারণেই টনসিলে প্রদাহের মাত্রা বেড়ে যায়, ফলে যন্ত্রণা শুরু হয়। নুন-জলে গার্গল করলে জীবাণুগুলি ধ্বংস হয়। ফলে টনসিলাইটিসের প্রকোপ কমে।
৪) মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে: মূলত দু’টি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়। মুখগহ্বরে ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আর শরীরে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে। এই দুই ক্ষেত্রেই ঈষদুষ্ণ নুন-জলে গার্গল দারুণ কাজে আসে।
৫) শরীরে পিএইচের ভারসাম্য ঠিক রাখতে: গলায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়াগুলির কারণে শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে পিএইচের ভারসাম্য বিগড়ে যায়। কিন্তু এই সব কিছুই আটকানো সম্ভব, যদি নিয়মিত নুন-জল দিয়ে গার্গল করা হয়। এমনটা করলে অ্যাসিডের প্রভাব কমতে থাকে। ফলে পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে, যে কারণে গলায় উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বাড়তে শুরু করে।