কী কী কারণে গল ব্লাডারে পাথর জমে? ছবি: সংগৃহীত।
এখন মানুষের জীবনে সময়ের এতটাই অভাব যে, ২৪ ঘণ্টাতেও দিনের কাজ শেষ হয় না। কাজের চাপে শরীরের সঙ্গে অনেকেই অনেক রকম অনিয়ম করেন। অনিয়মের ফলে রোগের প্রকোপও বাড়ছে। অনেক রোগের উপসর্গ দেখেও আমরা অবহেলা করি। তার মধ্যেই রয়েছে গল ব্লাডারে স্টোনের সমস্যাও। বিভিন্ন বয়সের মানুষই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগের মূল উপসর্গ পেটে ব্যথা। নিয়মিত পেটে ব্যথাই জানান দেয় যে, পিত্তথলিতে পাথর জমেছে।
কী কী কারণে গল ব্লাডারে পাথর জমে?
দীর্ঘ ক্ষণ খালিপেটে থাকলে গল ব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ওজন বেড়ে গেলে পিত্তথলির উপর চাপ পড়ে। তার জেরেও অনেক সময় পিত্তথলিতে পাথর জমে। বয়স চল্লিশ পেরোনোর পর এই রোগের আশঙ্কা বেশি। তাই চল্লিশের আশপাশের বয়স থেকে জল খাওয়ার নিয়মে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। শরীরে জলের ঘাটতি হতে দিলে চলবে না। ডায়াবিটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে, কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গল ব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হওয়া ভাল। এই রোগ অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক।
কোন উপসর্গগুলি জানান দেবে যে, আপনি গল ব্লাডারে আক্রান্ত?
১) পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল-মশলাদার খাবার খেলেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে হয় বমিও হয় অনেকের।
২) মাঝেমাঝেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথাও হয়।
৩) পিত্তথলিতে পাথর জমার মূল লক্ষণ, পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছনো। এ রকম হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪) প্রস্রাবের রং দেখেও সতর্ক হতে পারেন। গাঢ় খয়েরি রঙের প্রস্রাব পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫) গল ব্লাডারে পাথর জমলে অনেকেই জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হন। জন্ডিস হলেও সতর্ক থাকতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy