অর্শের সমস্যার দাওয়াই রয়েছে হেঁশেলেই। ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালীন জলখাবারে হিংয়ের কচুরি পেলে আর কী চাই! আলুর দম হোক কিংবা ধোকার ডালনা— নিরামিষ রান্নার স্বাদ বাড়াতে এক চিমটে হিং যথেষ্ট। তবে শুধু রান্নায় নয়, দাওয়াই হিসাবে হিংয়ের জবাব নেই। পেটের সংক্রমণ থেকে মুখের অরুচি— সবই কেটে যায় হিংয়ের গুণে। শীতকালে সর্দি-কাশি ঠেকাতেও কিন্তু হিং দারুণ উপকারী। এ ছাড়া যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতেও হিং বেশ কার্যকর। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে যৌনরোগের অনেক ওষুধেই উপাদান হিসাবে হিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনিয়মিত ঋতুঃস্রাবের সমস্যাতেও হিং দারুণ কাজ করে। তবে কেবল রান্নায় নয়, দুধের সঙ্গে হিং মিশিয়ে খেলে তার উপকারিতা বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। দুধের সঙ্গে হিং খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়?
১) অন্ত্রের প্রদাহ দূর করে।
২) নিয়মিত হজমের সমস্যায় ভুগছেন? বদহজম, গ্যাস, পেটে ব্যথা, বমির সমস্যা দূর হয়।
৩) কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট খারাপ, পেট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা থাকলে এই পানীয় খেলে আরাম বোধ হয়। অর্শের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয় এই পানীয়।
৪) হিংয়ের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তা কিডনির প্রদাহ দূর করতেও সাহায্য করে। বৃক্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
৫) হিংয়ে থাকা অ্যাসিটিলকোলিন মস্তিষ্কে সঙ্কেত আদান-প্রদানে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি এবং চেতনা বজায় রাখে।
দুধের সঙ্গে হিং খেলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
কী ভাবে বানাবেন এই বিশেষ পানীয়?
এক গ্রাম হিং একটি মাটির পাত্রে রেখে ৭২ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তার পর ২০০ মিলিগ্রাম দুধের সঙ্গে সেই মিশ্রণটি এক চামচ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এবং রাতে খাওয়ার এক ঘন্টা পরে পান করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy