রোজ মেকআপ করেন? রাসায়নিক মেশানো প্রসাধনী ব্যবহারের পরেও কী ভাবে ভাল রাখবেন ত্বক?

বিয়েবাড়ি হোক কিংবা অফিসের পার্টি— মেকআপ না করলে সাজটা ঠিক সম্পূর্ণ হয় না। রূপটান সাজগোজের অন্যতম অনুষঙ্গ। জমকালো পোশাকের সঙ্গে পাল্লা দিতে মেকআপ করতেই হয়। রূপটান করলে সৌন্দর্যের ধারে সাময়িক শান দেওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু ঘন ঘন মেকআপ করা ত্বকের পক্ষে মোটেও ভাল নয়। তবে কর্মসূত্রে অনেককেই সারা দিন মেকআপ করে থাকতে হয়। অভিনেতা-অভিনেত্রী, বিমানসেবিকা, মডেল— কর্মক্ষেত্রে এদের সকলকেই রোজ কমবেশি মেকআপ করতে হয়। প্রসাধনীকে থাকা বিভিন্ন রকম রাসায়নিক উপাদান ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ঘন ঘন মেকআপ করলে ত্বকের চাই বাড়তি যত্ন। এ ক্ষেত্রে কী ভাবে করবেন ত্বকের পরিচর্যা, রইল হদিস।

ক্লিনজিং: ত্বকের যত্নের অন্যতম একটি ধাপ। ত্বক ঠিক করে পরিষ্কার না করলে কিন্তু ত্বকে বয়সের চাপ পড়তে খুব বেশি সময় লাগে না। তবে কী দিয়ে ক্লিনজিং করছেন, সেটাও দেখা দরকার। ব্যবহার করতে পারেন তেলযুক্ত কোনও ক্লিনজার। ঘন ঘন রূপটানের কারণে তৈরি হওয়া ত্বকের গর্তগুলির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ত্বক আর্দ্রও থাকবে।

ফেসমাস্ক: প্রসাধনের ব্যবহারে ত্বক নিজের আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। ত্বক সজীব রাখতে ব্যবহার করতে পারেন ফেসমাস্ক। বাজারে বিভিন্ন সংস্থার ফেসমাস্কের ছড়াছড়ি। তবে আপনি চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন। দই, বেসন, হলুদ গুঁড়ো— এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসমাস্ক তৈরি করে নিন। ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এতে।

টোনার এবং সিরাম: মন দিয়ে মেকআপ করলেও ত্বকের যত্ন নিতে অনেকেই অনীহা দেখান। তার জন্য নিয়ম করে সিরাম এবং টোনারের ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। মেকআপ করুন আর না করুন, রোজের রূপচর্চায় এই কয়েকটি ধাপ মেনে চলতেই হবে।

তবে কেবল এ সব করলেই হবে না। এর পাশাপাশি বেশি করে জল খেতে হবে। সঙ্গে আট ঘণ্টার ঘুমও চাই। ধূমপানের অভ্যাস ছাড়তে হবে। আর কিছু মুখের ব্যায়ামও করতে হবে নিয়ম করে।