চুল পড়ার সমস্যা কোন ৫ রোগের ইঙ্গিত হতে পারে? ছবি: শাটারস্টক।
কেবল বর্ষায় নয়, সারা বছর ধরেই চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে কমবেশি সকলেই নাজেহাল। অত্যধিক মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, রাসায়নিকের ব্যবহার ও দূষণের বাড়বাড়ন্তের জেরে চুলের বারোটা বাজে, মাথায় টাক পড়তে শুরু করে। তবে কেবল যত্নের অভাবই নয়, চুল পড়া অনেক ক্ষেত্রেই জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। জেনে নিন, কোন কোন অসুখ শরীরে বাসা বাঁধলে অত্যধিক হারে চুল পড়তে শুরু করে।
পিসিওডি: অনেক মহিলাই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমের (পিসিওএস) সমস্যায় ভোগেন। এই অসুখে আক্রান্ত হলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। পিসিওএস থাকলে অত্যধিক চুল পড়া এবং চুল রুক্ষ, শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলি দেখা দেয়।
থাইরয়েড: থাইরয়েডের সমস্যায় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। থাইরয়েড হরমোন আয়রন, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ শোষণ করে। এই খনিজগুলি চুলের বৃদ্ধির জন্য উপকারী। হাইপোথাইরয়েডিজ়ম এবং হাইপারথাইরয়েডিজ়ম— উভয় রোগের ক্ষেত্রেই রোগীর চুল ঝরতে শুরু করে।
অ্যালোপেসিয়া: যখন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা চুলের ফলিকলগুলিকে আক্রমণ করে, তাকে বলা হয় অ্যালোপেসিয়া অ্যারেটা। মাথার তালু এবং মুখে এই রোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। এ রোগে আক্রান্ত হলে মাথার তালুতে গোল গোল চাকতির মতো টাক দেখা দেয়। এমনকি, ভুরুর রোমও ঝরতে শুরু করে।
এগজ়িমা এবং পোরিওসিস: প্রদাহজনিত এই দুই রোগের কারণে চুলকানি, র্যাশ হতে পারে। লাল ছোপ সারা মুখে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তা-ই নয়, এই দুই রোগের কারণেও চুলের ঘনত্বও কমে যেতে পারে।
মানসিক চাপ: খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে তার প্রভাব কেবল শরীরেই নয়, চুলেও পড়ে। চুল পড়ার অন্যতম বড় কারণ হল উদ্বেগ, মানসিক চাপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy