কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি মহিলাদের মাথার কাজও করতে হয়। ছবি- সংগৃহীত
রোদের প্রখর তেজ এবং কর্মব্যস্ত জীবনের দোসর ক্লান্তি। এই মরসুমে তা একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। দিন দিন যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে নারী, পুরুষ উভয়েই অতিরিক্ত ক্লান্ত বোধ করছেন। কিন্তু প্রতি দিনের সাধারণ কিছু কাজকর্ম করেও যদি ক্লান্তির পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে, সে ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া জরুরি। চিকিৎসকরা বলছেন, পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। অনেকেই মনে করেন, কায়িক পরিশ্রমের পাশাপাশি মহিলাদের মাথার কাজও করতে হয়। তাই পরিশ্রান্ত লাগে বেশি। কিন্তু এ ছাড়াও ক্লান্তির আর অন্য কোনও কারণ লুকিয়ে থাকতে পারে কি?
১) অপর্যাপ্ত ঘুম
বাইরের কাজ সামলেও ঘরের যাবতীয় দায়-দায়িত্ব পালন করেন বাড়ির মহিলারাই। সবার শেষে ঘুমোতেও যান। আবার সকলের আগে উঠেও পড়েন। তাই ঘুমে ঘাটতি থেকেই যায়। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক।
২) থাইরয়েড
যাঁদের থাইরয়েড রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ক্লান্তির এই সমস্যা খুবই দেখা দেয়। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যে হরমোন নিঃসৃত হয়, তা দেহের তাপমাত্রা থেকে শুরু করে বিপাক-সহ শরীরে নানা রকম ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এই হরমোনের অতি সক্রিয়তাও কিন্তু ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
৩) আয়রনের ঘাটতি
হরমোন এবং জীবনযাপনে পরিবর্তন মহিলাদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি ঘটায়। এ ছাড়াও ঋতুস্রাব, সন্তানধারণ এবং ঋতুবন্ধ— মেয়েদের জীবনচক্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আয়রনের উপর প্রভাব পড়ে। শরীরে আয়রন কম থাকলেও ক্লান্ত লাগতে পারে।
৪) অবসাদ
মনের উপর চাপ পড়লে বা কোনও কারণে মন খারাপ হলে ক্লান্ত লাগতে পারে। আবার এ কথা সত্যি যে ক্লান্ত লাগছে মানেই ঘুম ঘুম ভাব থাকবে, তা কিন্তু নয়। মনের অসুখ হলে কিন্তু সহজে ঘুম আসতে চায় না। অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন।
৫) ডিহাইড্রেশন
শরীরে জলের ঘাটতি থাকলেও ক্লান্ত বোধ করেন অনেকে। সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া হয়নি বলে জলের বিকল্প হিসাবে যদি নরম পানীয়, সোডা, অ্যালকোহল খেতে শুরু করেন, তবে লাভ কিছুই হবে না। বদলে শরীরকে আর্দ্র রাখতে ইলেকট্রোলাইটের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy