প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঘুম থেকে উঠে কাজে যাওয়া। কাজ থেকে ফিরেই সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করা। এই হল বেশির ভাগ মানুষের রোজনামচা। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, গল্প হলেও মনের ভরছে না। পাটভাঙা পোশাক পরে, ব্যাগ গুছিয়ে, সেজেগুজে অফিসে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু কোনও কাজেই তেমন উৎসাহ পাচ্ছেন না। কাজের সময়টুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা সমাজমাধ্যমেই কেটে যাচ্ছে। চেনা-অচেনা নির্বিশেষে কে কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন— এই সব কিছু মনের গভীরে কোথাও কি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে? এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী কী করবেন?
১) শরীরচর্চার অভাব
প্রতি দিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা কাজ করার পর, আর শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা করে না। অথচ মনোবিদেরা বলছেন, শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে গেলে নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি।
২) অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম
সারা ক্ষণ সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলে, চোখের ক্ষতি হয়। তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয় মনের। তা ছাড়াও দীর্ঘ ক্ষণ চোখের উপর নীলচে আলো এসে পড়লে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়। ফলে কোনও কাজেই তেমন এনার্জি পাওয়া যায় না।
৩) অপর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মনমেজাজ কিছুই ভাল থাকে না। তার উপর যত ক্ষণ ঘুম না আসে, তত ক্ষণ চোখের সামনে ফোন ধরে থাকার অভ্যাস। নানা ধরনের বিনোদন ঘুম আসার আবহ নষ্ট করে দেয়। প্রতি দিন এমন ভাবে ঘুমের অভাব হলে তার প্রভাব পড়বে মনে।
৪) অস্বাস্থ্যকর খাবার
অতিরিক্ত বাইরের খাবার খেলে বা প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শরীর এবং মনের চনমনে ভাব না-ও থাকতে পারে। কারণ, এই সব খাবারে থাকা অতিরিক্ত চিনি, অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এই সমস্যার জন্য দায়ী।
৫) নিজের সম্পর্কে খারাপ কথা ভাবা
প্রতি দিন সব কাজ যে সুষ্ঠু ভাবে শেষ করতে পারবেন, এমন না-ও হতে পারে। তাই বলে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলা যাবে না। নিজের সম্পর্কে খারাপ কথা ভাবা, অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করার মতো অভ্যাস কিন্তু সব সময় মনে ভাল প্রভাব ফেলে না। কাজেও উৎসাহ পাওয়া যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy