Advertisement
E-Paper

ঢোঁক গিলতেও ব্যথা লাগছে? ভাইরাল সর্দি-কাশি ভেবে মুখের ক্যানসারকে অবহেলা করছেন না তো?

নারীদের তুলনায় পুরুষরাই মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভেতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এই সব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি। কী ভাবে সতর্ক হবেন?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৩৩
মুখের ক্যানসারের লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?

মুখের ক্যানসারের লক্ষণগুলি এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত।

ভারতে মুখের ক্যানসার বাড়ছে হু-হু করে। অথচ চেষ্টা করলেই যা রোখা সম্ভব। গুটখা, খৈনি, পানমশলা খাওয়ার অভ্যাসই ডেকে আনে এই মারণরোগের ঝুঁকি। জেনেবুঝেও এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না অনেকেই। প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে মুখের ক্যানসার সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে তোলা যায়। তবে কোনও বিকল্প চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত অংশকে সমূলে বাদ দেওয়াই স্বীকৃত চিকিৎসা। নারীদের তুলনায় পুরুষরাই এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন বেশি। ঠোঁট, জিভ, গালের ভিতরের অংশ, মাড়ি, মুখের শক্ত ও নরম তালু, গলার নীচের অংশ— মুখের এই সব অংশই ক্যানসারে আক্রান্ত হয় বেশি।

তামাকজাত পদার্থ ছাড়াও মদ্যপানও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে মানুষের জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসও ক্যানসারের প্রবণতা বাড়ায়। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর সংক্রমণ, পরিবারের কারও মুখের ক্যানসারের ইতিহাস, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অপুষ্টি ইত্যাদি কারণেও এই রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।

কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

১) মুখের মধ্যে কোনও সাদাটে বা লালচে ছোপ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষত তিনি যদি স্মোকার বা ধোঁয়াহীন তামাকে আসক্ত হন। লিউকোপ্লেকিয়া অর্থাৎ সাদাটে প্যাচ হল প্রাথমিক ক্যানসারের লক্ষণ।

২) গালে বা গলায় কোনও ফোলা অংশ যা বাইরে থেকে বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু কোনও ব্যথা-বেদনা নেই বললেই চলে— এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হতে হবে।

৩) মুখের ভেতরে কোনও ব্যথাহীন ফোলা অংশ আছে, যা ক্রমশ বাড়ছে কিংবা মুখের ভিতরে মাংসপিণ্ড জমাট বেঁধে ধীরে ধীরে বাড়ছে— তা-ও ক্যানসারের লক্ষণ।

৪) দীর্ঘ দিন ধরে জিভ নাড়াতে অসুবিধে হচ্ছে, কথা বলারও সমস্যা শুরু হয়েছে, হাঁ করতে বা মুখ খুলতে প্রবল ব্যথা হচ্ছে।

৫) ঠান্ডা লাগলে বা কোনও ভাইরাল জ্বর হলে গলায় ব্যথা হয়, ঢোঁক গিলতেও সমস্যা হয়। তবে সেই ব্যথা স্বল্প দিনের। যদি দেখেন দীর্ঘ দিন পরেও এই ব্যথা কমছে না, তা হলে সতর্ক হতে হবে।

মুখের ক্যানসার মোকাবিলায় প্রতিরোধই সেরা কৌশল। কাজেই পান, সুপারি, বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা-সহ তামাকজাত পণ্য বর্জন করতে হবে। দাঁতের যত্নও নিতে হবে। দিনে দু’বার ব্রাশ করা, সঙ্গে ফ্লস-মাউথওয়াশের ব্যবহার রপ্ত করতে হবে। বছরে অন্তত দু’বার দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। মুখে যে কোনও ঘা বা আলসার হলে ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Oral Cancer oral health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy