পুজোর আগে অনেকেই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার প্রতিজ্ঞা করেছেন। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শরীরচর্চায় অনীহা, এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকার কাজ— মধ্যপ্রদেশ বৃদ্ধির জন্য এই কারণগুলি যথেষ্ট। চটজলদি ওজন কমানোর জন্য তাই কেউ জিমে ভর্তি হয়েছেন, কেউ আবার কড়া ডায়েট শুরু করেছেন। এ সবের পাশাপাশি মেদ ঝরাতে হেঁশেলের কিছু মশলার উপরেও ভরসা রাখতে পারেন। শরীরের বিপাকহার বৃদ্ধি পেলেই কিন্তু ওজন দ্রুত ঝরানো সম্ভব হয়। আর কয়েকটি মশলার গুণে বিপাক হার বাড়িয়ে ফেলা যায়। জেনে নিন ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়ায় কোন মশলা দাওয়াই রূপে কাজ করতে পারে।
কোন মশলাগুলি ওজন কমাতে সাহায্য করবে আপনাকে?
১) দারচিনি: বিরিয়ানি হোক বা মশলা চা— বিভিন্ন পদে দারচিনির সুবাস আলাদা মাত্রা আনা। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ দারচিনি ভেজানো জল রোজ সকালে খালি পেটে নিয়ম করে খান। দারচিনি শরীরের বিপাকহার বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
২) ছোট এলাচ: ছোট এলাচে রয়েছে মেলাটোনিন, যা বিপাকহার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মেদ ঝরাতে এই মশলা বেশ কার্যকর। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে উষ্ণ গরম জলে এলাচ মিশিয়ে খেতে পারেন।
৩) জিরে: হজম ভাল হলেই কিন্তু বিপাকহার বেড়ে যায়। রান্নার অন্যতম প্রধান এই উপকরণটি নিয়মিত খেলে হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। সারা রাত আধ কাপ জলে এক চামচ জিরে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে সেই জলটি ছেঁকে নিয়ে খেয়ে নিন। ওজন ঝরবে দ্রুত।
৪) হলুদ: হলুদ ছাড়া রান্না হয় না। খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি হলুদ কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। হজমক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে হলুদ। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের সমৃদ্ধ হলুদ শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে দেয়। চটজলদি ওজন কমাতে হালকা গরমজলে হলুদ ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে পারেন। কিংবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ওজনও ঝরে আর শরীরের প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে।
৫) আদা: হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটলেই মূলত ওজন বাড়তে থাকে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ আদা দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে। আদা ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও কমিয়ে দেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদা বেশ কার্যকর।