খাওয়ার সময়ে আপনিও কি একই ভুল করছেন? ছবি: শাটারস্টক।
সকালে শৌচালয়ে ঢুকলে অনেকেরই অফিস যেতে দেরি হয়ে যায়। কারণ একটাই— কোষ্ঠকাঠিন্য। যাঁরা এই সমস্যার শিকার, তাঁদের এমনিতেই খাবার খেতে হয় মেপে। তবুও সহজে মুক্তি পাওয়া যায় না এই সমস্যা থেকে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগলে অনেক সময়ে অন্য কোনও রোগেরও ঝুঁকি থাকে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে যত দ্রুত মুক্তি পাওয়া যায়, ততই ভাল। ওষুধ খেয়ে কিংবা সঠিক নিয়ম মেনেও অনেক সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকা যায় না। আমাদের খাওয়ার অভ্যাসের কারণেও কিন্তু এই রোগ পিছু ছাড়ে না। খাওয়ার সময়ের কোন কোন অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়?
১) খালি পেটে থাকা: কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কখন খাচ্ছেন। খাওয়ার সময়টা সব ক্ষেত্রেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে থাকলে খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় থাকে না। দেরি হয়ে যায়। অনেক ক্ষণ ধরে পেট ফাঁকা থাকার ফলে গ্যাস জমতে শুরু করে পেটে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার পেটে পৌঁছতেই শুরু হয় বদহজম। তাই সময়ের খাবার সময়ে খেয়ে ফেলাই ভাল।
২) খাবার গিলে ফেলা: খেতে বসার সময়ে তাড়াহুড়ো না করাই ভাল। অনেক সময়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর তাড়ায় কিংবা অফিসে কাজের তাড়ায় চটজলদি খেয়ে ফেলি আমারা। খাবার ঠিকমতো না খেলে কিন্তু হজম ভাল হয় না আর তাতেই বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।
৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার: সকালে উঠে পাউরুটির সঙ্গে সসেজ, বিকেলে খিদে পেলে নাগেট্স আর রাতে ইনস্ট্যান্ট নুড্লস খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া। যত বেশি প্রক্রিয়াজাত খাবার খাবেন, ততই বাড়বে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। তাই পেট ভাল রাখতে ঘরে তৈরি খাবার খাওয়াই ভাল।
৪) অতিরিক্ত মদ্যপান: শীতকাল পড়তেই রোজ রোজ পার্টি? আর পার্টি মানেই মদ্যপান। অতিরিক্ত মদ্যপান করলেও কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই পেট ভাল রাখতে মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে করাই ভাল।
৫) জল কম খাওয়া: কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম বড় কারণ কিন্তু জল কম খাওয়া। শীতকালে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রেহাই পেতে বেশি করে জল খেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy