দ্রুত রোগা হতে অনেকেই মাত্রাছাড়া ডায়েট শুরু করেন। প্রতীকী ছবি
দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা— একে একে শেষ হয়েছে প্রতিটি উৎসব। উদ্যাপনের প্রতিটি মুহূর্ত মনে থেকে যাক। উৎসবের রেশ শরীর থেকে ঝেড়ে ফেলা জরুরি। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা— সকলেই ধীরে ধীরে রোজের নিয়মে ফিরছেন। প্রতিটি উৎসবের সূত্র হল খাওয়াদাওয়া। বিগত আনন্দ-অনুষ্ঠানেও তার অন্যথা হয়নি। বাইরের খাবার খাওয়া তো ছিলই। সেই সঙ্গে বাড়ির খাবারেও তেল-মশলার পরিমাণ বেশি ছিল। উপরন্তু শরীরচর্চা করার কোনও সময় ছিল না। ফলে উৎসব-উদ্যাপনের অনিয়মে তৈরি হওয়া বাড়তি মেদ ঝরানোটাই এই মুহূর্তে অনেকের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে।
পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত রোগা হতে অনেকেই মাত্রাছাড়া ডায়েট শুরু করেন। অনেকেই প্রায় সারা দিন উপোস করে থাকেন। খাওয়াদাওয়ার পরিমাণও অনেক কমিয়ে দেন। সব কিছুর একটা নিয়ম রয়েছে। সেই নিয়ম মেনে চললে তবেই মিলবে সুফল। তাড়াহুড়োর বশে অনেকেই ভুল করে ফেলেন। উৎসবের পর পুরনো ছন্দে ফিরতে রোজ কোন অভ্যাসগুলি মেনে চলবেন?
১) দিন শুরু করুন জিরে, জোয়ান ভেজানো এক গ্লাস জল দিয়ে। এই পানীয় হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিতর থেকে চনমনে থাকতে এই পানীয় দারুণ কার্যকর। সারা দিন যে খাবারগুলি খাবেন, সেগুলি দ্রুত হজম হওয়া প্রয়োজন। সে কাজে সাহায্য করে এই পানীয়।
২) ঘুম থেকে উঠেই খাবার খাবেন না। সকালে যে সময়ে খাবার খান, তার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে ঘুম থেকে উঠুন। হালকা শরীরচর্চা করুন। অল্প ঘাম ঝরুক। তার পর খাবার খান।
৩) খুব খিদে পেয়েছে? এমন সময়েও কিন্তু চানাচুর, চিপস্ খাবেন না। এক বাটি ফল খেয়ে নিন। গাজর, বিট, পালংশাক দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন নানা ধরনের স্যালাড। পেট ভাল রাখতে এই ধরনের খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি।
৪) ঘরোয়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুপুরে বেশি ভারী কোনও খাবার খাবেন না। এতে হজম করতে অসুবিধা হবে। কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফাইবার— খাবারে যেন পুষ্টির বিভিন্ন উপাদানের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৫) দুপর এবং রাতের খাবারের মাঝের সময়ে একেবারে পেট খালি রাখবে না। মাঝখানে মাখনা, স্যুপ, ড্রাইফ্রুটস, কাঠবাদামের মতো কিছু খাবার খান। এতে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা অনেকটা দূর হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy