বকাঝকা দিয়ে কোনও সুষ্ঠু কাজ হয় না। প্রতীকী ছবি
সন্তান অবাধ্য— অনেক অভিভাবকের মুখেই এমন অভিযোগ শুনতে পাওয়া যায়। অবাধ্য ছেলেমেয়ের দৌরাত্ম নিয়ে আত্মীয় বা বন্ধুমহলে আলোচনাও কম হয় না। কোনও কথায় অবাধ্য হলেই বাবা-মায়েরা শাসন করতে শুরু করে দেন। চলে বকুনি। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, কেন কথা শুনছে না সে? তা কি কেবলই তার দোষ, না কি সেখানে কোনও ফাঁক থেকে যাচ্ছে আপনার তরফেও? কম বয়সে একটু-আধটু অবাধ্যতা অস্বাভাবিক নয়। তবে তা সামলানোর দায়িত্ব বাবা-মায়ের। সেই সময়ে কোনও ভুল পদক্ষেপ সমস্যা ডেকে আনতে পারে। বকাঝকা দিয়ে কোনও সুষ্ঠু কাজ হয় না। ঠান্ডা মাথায় সন্তানের অবাধ্যতা সামলানো জরুরি। রইল তেমন কয়েকটি উপায়।
১) কেবল নির্দেশের ভঙ্গিতে কথা বললে তা শিশুর পক্ষে বোঝা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বরং তাকে খেলার ছলে বোঝানোর চেষ্টা করুন। সংক্ষেপে বলুন। ঠান্ডা গলায় কথা বলুন। উত্তেজিত হবেন না। শিশুর বয়স অনুপাতে শব্দ প্রয়োগ করুন। বকা দিয়ে বোঝানোর চেয়ে খোলাখুলি কথা বলুন। তার অবাধ্যতার কারণে কী কী সমস্যা হতে পারে তা তাকে জানান।
২) সন্তান যখন কথা বলে, কিছু বোঝাতে চায়, তখন তার কথার গুরুত্ব দেন কি? না কি সে সব পাত্তা না দিয়ে তার ভুল-ত্রুটি নিয়েই ধমক দিতে থাকেন? এমন হলে এ অভ্যাস বদলানো জরুরি। সন্তান অন্যায় করলেও তাকে তার স্বপক্ষের যুক্তিগুলো বলতে দিন। তা হলে সেগুলি খণ্ডন করে সন্তানকে ঠিক পথে আনতে পারবেন।
৩) সন্তান যখন তার বন্ধু বা স্কুলের গল্প বলে, বা আপনার সঙ্গে খেলতে চায়, তখন সে কথা রাখেন? অনেক সময়েই দেখা যায়, বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে থাকার কারণে সন্তানের কথা কান এড়িয়ে যায়। অনিচ্ছাকৃত হলেও শিশুদের মধ্যে এ নিয়ে চাপা অসন্তোষ তৈরি হয়। অবচেতনে সেই ক্ষোভ বুঝতে পারে না সন্তানও। কিন্তু তার প্রভাব তৈরি হয় আচরণে। অবাধ্য হতে শুরু করে।
৪) অনেক সন্তান আছে, যারা ইচ্ছাকৃতই বাবা-মায়ের অবাধ্য হয়। খুব ছোটবেলাতেই এমন স্বভাবের হদিস পেলে তাকে প্রথমেই শাসন করে আরও একগুঁয়ে করে তুলবেন না। তার চেয়ে তার এই অভ্যাস বদলানোর জন্য কিছু নিয়মশৃঙ্খলা আনুন। কাজ না হলে মনোবিদের সাহায্য নিতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy