রোজের জীবনে কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই এই রোগের জন্ম হয়। প্রতীকী ছবি।
মহিলারা সাধারণত যে শারীরিক সমস্যাগুলিতে সবচেয়ে বেশি ভোগেন, ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ তার মধ্যে অন্যতম। পিসিওএসের সমস্যা নিয়ে নাজেহাল অনেকেই। বলিপাড়ার অনেক অভিনেত্রী নিজেদের শারীরিক এই সমস্যা নিয়ে অকপট হয়েছেন। চিকিৎসকদের মতে, রোজের জীবনে কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই এই রোগের জন্ম হয়। শরীরে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেশি হওয়ায় ডিম্বাশয়ের চারপাশে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়।
এই রোগের কারণে ৫০ শতাংশ মহিলা ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। মেদ বেড়ে যায় সহজেই, শরীরে লোম বেশি দেখা যায়, মাথায় চুল উঠে টাক পড়ে যাওয়ার প্রবণতাও বাড়ে।
পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম থাকলে মেয়েদের শরীরে সাধারণত ইনসুলিনের পরিমাণ কম থাকে। কিংবা তা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলেও ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। তার থেকে ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই পিসিওএস নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। তার জন্য ওষুধ তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে কয়েকটি খাবার রোজের পাতে রাখলে সুস্থ থাকা যায়।
পিসিওএস থাকলে দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া যায় না বলেই ধারণা অনেকেরই। তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অবশ্য অন্য কথা বলছে। পিসিওএস থাকলে দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না, এমন নয়। অনেক পিসিওএসের রোগী আছেন, যাঁরা নিয়মিত দুগ্ধজাতীয় খাবার খান। এবং তাঁদের কোনও সমস্যা হয় না। তবে দুধ খেলে যদি সত্যিই সমস্যা হয়, তা হলে বিকল্প হিসাবে ওটমিল খেতে পারেন।
আর কী খাওয়া যেতে পারে?
১) রেড মিটের বদলে চিকেন খান। মাছ খুব ভাল লিন প্রোটিন। ডিম চলতে পারে। ডাল খেতে পারেন। নানা রকম বীজ খাওয়া যেতে পারে যেমন চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।
২) উচ্চ ফাইবার যুক্ত সব্জি খান। যেমন ফুলকপি, ব্রকোলি, লেটুস পাতা, কুমড়ো, বিন ইত্যাদি। আমন্ড, আখরোট, যে কোনও ধরনের বেরি, শসা, টমেটো, আপেল, নানা রকম লেবু খেতে পারেন।
৩) অলিভ অয়েল বা যে কোনও খাঁটি তেল ব্যবহার করতে পারেন রান্নার জন্য। চকোলেটের বদলে ডার্ক চকোলেট এক টুকরো করে চলতে পারে মাঝেমাঝে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy