Advertisement
E-Paper

বাতের ব্যথাবেদনা কষ্ট পাচ্ছেন? ওষুধের পাশাপাশি নজর দিতে হবে পথ্যেও, কোন তিন খাবার যন্ত্রণা কমাবে

বাতের ব্যথা ঘরে ঘরে। খাদ্যাভ্যাসও কিন্তু অনেেকটাই এর জন্য দায়ী। তাই এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করবে।

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:২২

বয়স বাড়লে হাঁটুর ব্যথাও বাড়ে। বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের দেখলেই তা বোঝা যায়। বসলে উঠতে পারেন না। আবার তাড়াতাড়ি বসতেও পারেন না। মাঝেমাঝে এমন যন্ত্রণা হয় যে, দু’দিন বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারেন না অনেকে। চলাফেরা করাও দুরূহ হয়ে ওঠে। বয়সজনিত কারণে পায়ের পেশিগুলি নমনীয়তা হারাতে থাকে। ফলে পেশি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারায়। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের জন্ম হয় এই ভাবেই। ওজন বেশি হলে কিন্তু এই সমস্যা অকালেই দেখা দিতে শুরু করে। কড়া কড়া ওষুধ ছাড়াও বাতের ব্যথাবেদনা কমাতে নজর দিতে হবে পথ্যেও। কোন কোন খাবার গাঁটে গাঁটে ব্যথা কমাতে পারে, তা জেনে রাখা ভাল।

বাতের ব্যথা কমাত কী কী খাবেন?

বেদানা

ফলের পুষ্টিগুণ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। ফলের মধ্যে যত ধরনের প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ রয়েছে তা অন্য কোনও খাবারে নেই। তবে পুষ্টিবিদদের কাছে নানা রকম ফলের মধ্যে বেদানার কদর বেশি। পুষ্টিগুণ বিচার করলে দেখা যাবে, বেদানার মধ্যে প্রায় ৯৩ ক্যালোরি রয়েছে। প্রোটিন রয়েছে আড়াই গ্রামের মতো। ফ্যাটের পরিমাণ নামমাত্র। তাই নিয়মিত খেলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। এ ছাড়াও বেদানায় এমন কিছু খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহ নাশ করে। বেদানার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। প্রতি দিন বেদানার রস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।

আখরোট

আখরোটে ফাইবারও থাকে ভাল মাত্রায়। ডায়েটে ফাইবার রাখলে হজম ক্ষমতা বাড়ে। ‘আলফা-লিনোলেনিক অ্যাসিড’ নামে একধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে আখরোটে যা গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাড়ের ক্ষয় কমাতে সাহায্য করে। তা ছাড়া আখরোটের প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক ও ভিটামিন ই শরীরের যে কোনও রকম প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

ডার্ক চকোলেট

ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আসলে কোকোর মধ্যে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফ্ল্যাভোনয়েড যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চালনা বাড়িয়ে দেয়। সেরোটোনিন নামে হরমোনের ক্ষরণ শুরু হয় যা মনকে খুশি রাখে। ডার্ক চকোলেট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমে।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy