Advertisement
E-Paper

ফ্যাটি লিভারের চেয়েও মারাত্মক সিরোসিস, শরীর সঙ্কেত দেয় আগেই, চিনবেন কী ভাবে?

লিভারের ফাইব্রোসিস বা লিভারে ক্ষতের অন্তিম পর্ব হল সিরোসিস। এই সিরোসিস যদি ক্রনিক হয়ে যায়, তা হলে বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। লিভার ক্যানসারের কারণও হতে পারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৫
What are the cause and symptoms of Liver Cirrhosis

সিরোসিসের লক্ষণ বুঝবেন কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।

ফ্যাটি লিভার নিয়ে আতঙ্ক চারদিকে। তবে এর চেয়েও মারাত্মক সিরোসিস। লিভারে মেদ জমতে জমতে যখন প্রদাহ সাংঘাতিক ভাবে বেড়ে যায়, তখন লিভারে ক্ষত তৈরি হত থাকে। তা-ই হল সিরোসিস। দীর্ঘ দিন ধরে লিভারের কোনও অসুখ থাকলে, জন্ডিস হয়ে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত মদ্যপান করলে এই রোগ হতে পারে। তবে ডায়াবিটিস বা স্থূলত্ব রয়েছে যাঁদের, তাঁরাও সতর্ক না হলে এই রোগ থাবা বসাতে পারে। সময়ে ধরা পড়লে এই রোগটির জটিলতা থেকে অনেকখানিই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগটি ধরতেই এত দেরি হয়ে যায় যে, তখন আর কিছু করা সম্ভব হয় না। লিভার সিরোসিস হওয়ার শুরুতেই শরীর কিছু কিছু সঙ্কেত দিতে থাকে। সেগুলি চিনে রাখা ভাল।

কেন ক্ষত হচ্ছে লিভারে

লিভারের ফাইব্রোসিস বা লিভারে ক্ষতের অন্তিম পর্ব হল সিরোসিস। এই সিরোসিস যদি ক্রনিক হয়ে যায়, তা হলে বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তা লিভার ক্যানসারের কারণও হতে পারে।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্‌থ এবং আমেরিকান লিভার ফাইন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, লিভার মেদ তৈরি করে। রক্তের মধ্যে দিয়ে তা পেশিতে পৌঁছোয়। লিভার যতটা মেদ তৈরি করছে আর যতটা খরচ করছে, তার মধ্যে যদি ভারসাম্য না থাকে, অর্থাৎ মেদ উদ্বৃত্ত হয়ে যায়, তা হলে সেটি লিভারে স্তরে স্তরে জমতে থাকে। এটিই ফ্যাটি লিভার। সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চা করে ফ্যাটি লিভারকে বশে রাখা যায়। কিন্তু অতিরিক্ত তেলমশলাদার খাবার, অ্যালকোহল থেকে বাড়তে থাকে কোলেস্টেরল। ট্রাইগ্লিসারাইড ও ইনসুলিন রেজ়িস্ট্যান্সের সমস্যা দেখা দেয়, যাকে বলে ‘মেটাবলিক সিনড্রোম’। এই সিনড্রোম একটু একটু করে সিরোসিসের জন্ম দেয়।

জন্মগত কোনও ত্রুটি ও কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য লিভারের অসুখ হতে পারে। মদ্যপানে রাশ টানতে এবং পেটের ব্যথা কমাতে অনেকে নানা রকম ওষুধ খেয়ে থাকেন। এই সব ওষুধ সাময়িক ভাবে যন্ত্রণা কমালেও, পাকাপাকি ভাবে লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়, যা পরবর্তী কালে সিরোসিসের রূপ নেয়।

কোন কোন লক্ষণ এড়িয়ে যাওয়ার নয়

লিভারে ক্ষত তৈরি হলে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, এর থেকে জন্ডিস হতে পারে।

যদি দেখেন, সারা শরীরে ঘন ঘন কালশিটে পড়ছে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। লিভার যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তা হলে প্রয়োজনমতো প্রোটিন তৈরি করতে পারে না। ফলে সহজেই কালশিটে পড়তে থাকে।

লিভারে ক্ষয় হতে থাকলে অ্যালবুমিন প্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়, তখন পা ও গোড়ালিতে জ্বালাভাব হয়। এটিও একটি লক্ষণ।

দীর্ঘ দিনের লিভারের অসুখ থাকলে পেটের তলদেশে তরল জমা হয়ে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। দেখে মনে হবে, পেট ফুলে আছে। খিদে কমে যাবে, ওজন কমতে পারে। তখন সাবধান হতে হবে।

Fatty Liver liver diseases
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy