Advertisement
E-Paper

কিডনির সমস্যা ধরা পড়েছে? রোজের ডায়েটে ৫ রকম খাবার রাখতে ভুলছেন না তো?

এক বার কিডনির রোগ ধরা পড়লে জীবনে চলে আসে অনেক রকম বিধিনিষেধ। বিশেষ করে কী খাচ্ছেন, তা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, এই রোগে ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়ার সুযোগ থাকে না। অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ১৫:০১
কিডনির রোগ ধরা পড়লে খাবার নিয়ে কতটা সতর্ক হবেন?

কিডনির রোগ ধরা পড়লে খাবার নিয়ে কতটা সতর্ক হবেন? ছবি: সংগৃহীত।

শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল কিডনি। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বার করে দেওয়ার কাজটি বরাদ্দ থাকে কিডনির জন্য। কিডনিতে কোনও রকম প্রদাহ তৈরি হলে শরীরের অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও তার প্রভাব পড়ে। ধীরে ধীরে শরীরের সব অঙ্গও বিকল হতে শুরু করে। তাই কিডনি ভাল রাখা খুব জরুরি।

এক বার কিডনির রোগ ধরা পড়লে জীবনে চলে আসে অনেক রকম বিধিনিষেধ। বিশেষ করে কী খাচ্ছেন, সেটা অত্যন্ত জরুরি। কারণ এই রোগে ইচ্ছা করলেই সব কিছু খাওয়ার সুযোগ থাকে না।

অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। চিকিৎসকদের মতে, কিডনির রোগীদের সোডিয়াম আর ফসফরাস-সমৃদ্ধ খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল। বাইরের প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটবন্দি খাবারে এ ধরনের উপাদান অনেক বেশি থাকে। ফলে এই ধরনের খাবার বেশি না খাওয়াই ভাল।

রোজের পাতে কমাতে হবে নুনের পরিমাণও। প্রোটিন ও দুগ্ধজাত খাবারের পরিমাণেও রাশ টানা জরুরি। কমলা লেবু, মুসাম্বি লেবুর মতো কোনও টক ফল খেলেও হতে পারে সমস্যা।

কিডনির অসুখে কী খাওয়া যেতে পারে?

১. বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ক্যাপসিকামে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন কে, সি, বি৬, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা দেহের ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে কিডনিকে শক্তিশালী করে।

২. জাম, স্ট্রবেরি, আপেল, ব্লুবেরি, আনারস, লাল আঙুর ইত্যাদি কিডনি ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৩. পেঁয়াজ ও রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কিডনির পক্ষে ভাল।

৪. আদা দেহের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে কিডনিকে সচল রাখতে সাহায্য করে, ফলে কিডনির কার্যকারিতা বেড়ে যায়।

৫. কিডনির অসুস্থতার কারণে কোনও রোগীর সপ্তাহে দু’-তিন বার করে ডায়ালিসিস চলছে মানেই, কিডনির কাজ হচ্ছে কৃত্রিম ভাবে। এর ফলে বেশ কিছু পরিমাণে প্রোটিনের ক্ষয়ও হচ্ছে। তাই শরীরে সঠিক মাত্রায় প্রোটিনের জোগান দেওয়া ভীষণ জরুরি। চিকেন খাওয়া যেতে পারে। তবে অবশ্যই চামড়া ছা়ড়ানো চিকেন। ডিমের সাদা অংশ, মাছ, দুধ বা দই থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করতে হবে। তবে ডায়ালিসিস চলে না, এমন রোগীদের কিন্তু প্রোটিন খেতে হবে বুঝেশুনে। সবটাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া জরুরি।

Kidney Problem
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy