মাস চারেক আগেই কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন দেবিনা, ১২০ দিনের মাথায় ফের সুখবর দেবিনা-গুরমিতের ঘরে।
দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস চারেক আগেই কন্যাসন্তানের মা হয়েছেন দেবিনা। ১২০ দিনের মাথায় ফের সুখবর দেবিনা-গুরমিতের ঘরে।
প্রথম বার মা হওয়ার অভিজ্ঞতা মোটেই সহজ ছিল না অভিনেত্রীর কাছে। আইভিএফ পদ্ধতিতে তিনি কন্যাসন্তান লিয়ানার জন্ম দিয়েছিলেন। বহু সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার সময়ে তাঁকে কোন কোন জটিলতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বহু দিন ধরেই পিসিওডির সমস্যা ছিল দেবিনার। পরবর্তী সময়ে তাঁর শরীরে এন্ড্রোমেট্রোসিস এবং অ্যাডিনোমায়োসিসের মতো জটিলতাও ধরা পড়ে। সাধারণত এই ধরনের রোগ মা হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দেবিনারও তাই হয়েছিল। বার বার ব্যর্থ হয় আইভিএফ। তবুও ভেঙে পড়েননি অভিনেত্রী। মন শক্ত করে চিকিৎসা পদ্ধতির উপর ভরসা রেখেই সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
এত জটিলতা কাটিয়ে মা হয়েছেন দেবিনা আর চার মাসের মধ্যে ফের সন্তানধারণ, এর জন্য দেবিনার স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হবে না তো? প্রশ্ন তাঁর ভক্তমহলে।
স্ত্রীরোগ চিকিৎসক রত্নাবলী রায়শর্মা বলেন, ‘‘এন্ড্রোমেট্রোসিস রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। তবে এক বার যদি আপনি সন্তান ধারণ করে ফেলেন তা হলে ন’মাসের জন্য এই রোগ আপনার শরীরে তেমন ক্ষতি করে না। এই সময় ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে, তাই এই রোগের সব লক্ষণগুলিও ন’ মাসের জন্য চাপা পড়ে যায়। শুধু তাই নয়, সন্তান জন্ম দেওয়ার ছ’মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই রোগের লক্ষণগুলি তেমন ভাবে প্রকাশ পায় না। উপরন্তু এই সময়টা মহিলাদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তবে এর মানে এই নয় যে, এই রোগ আবার শরীরে দেখা দেবে না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফের দেখা দিতে পারে এই রোগের লক্ষণ। শিশুকে যদি কেবল স্তন্যপান করানো হয়, সে ক্ষেত্রে সন্তান জন্মের ছ’মাসের মধ্যে ফের গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়। যে মহিলা এন্ড্রোমেট্রোসিসে আক্রান্ত তিনি যদি দুই সন্তান চান তা হলে প্রথম সন্তান হওয়ার এক বছরের মধ্যেই তিনি পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরিকল্পনা করতেই পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে মাকে নিজের প্রতি অনেক বেশী যত্নশীল হতে হবে।’’
সন্তান জন্ম দেওয়ার কত দিন পর ফের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পরিকল্পনা করা স্বাস্থ্যকর?
রত্নাবলী বলেন, এক বার সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মহিলাদের শরীরে আয়রন ও প্রোটিনের ঘাটতি হয়। জরায়ুও তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে বেশ খানিকটা সময় নেয়। আমাদের মতে, দুই সন্তানের মাঝে তিন বছরের ব্যবধান রাখা ভাল। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যাঁরা সন্তান জন্ম দেন তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানধারণের ক্ষেত্রে ১৮ মাসের ব্যবধান রাখতে হবে। আর স্বাভাবিক প্রসবের ক্ষেত্রে এক বছরের ব্যবধান থাকা শ্রেয়। তবে দেবিনা যে চার মাসের মাথায় ফের মা হচ্ছেন, এতে চিন্তার কিছুই নেই। বেশি মাত্রায় প্রোটিন খাওয়া, আয়রনের ট্যাবলেট খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের প্রতি নিতে হবে বাড়তি নজর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy