Advertisement
০৭ মে ২০২৪
uric acid

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলেই খাওয়া বন্ধ? কোন কোন খাবারে বশে থাকে এই সমস্যা?

ইউরিক অ্যাসিড দীর্ঘ দিন ধরে জমতে জমতে তা ‘ক্রিস্টাল’-এর আকার নেয়। ফলে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা নষ্ট হয় এবং কিডনিতে পাথর জমে। কোন কোন খাবার খেয়ে এই অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়?

খাবার দিয়েও ইউরিক অ্যাসিডকে বশে আনা যায়।

খাবার দিয়েও ইউরিক অ্যাসিডকে বশে আনা যায়। ছবি- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৫:১৭
Share: Save:

সকালে ঘুম থেকে উঠেই পায়ের আঙুলে ব্যথা বা হাতের আঙুল ভাঁজ করতে না পারা, হাত বা পায়ের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে থাকা যে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ, এ কথা অনেকেই জানেন। কারণ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস-এর মতো ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা এখন জীবনধারা-নির্ভর রোগের মধ্যে পড়ে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে তাই চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই খাওয়ার তালিকা থেকে টম্যাটো, ঢেঁড়শ, মুসুর ডাল বাদ দিয়ে দেন অনেকে।

কিন্তু চিকিৎসকরা বলেন, রোজের তালিকা থেকে কিছু খাবার বাদ দিলেই ইউরিক অ্যাসিড কমে না। মূত্র্রের মধ্যে থাকা বিভিন্ন যৌগের মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও একটি। শরীরের মধ্যে তা থাকবেই। কার শরীরে কতটা পরিমাণ এই অ্যাসিড থাকবে, তা নির্ভর করে সেই ব্যক্তির প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ এবং বিপাকের হার কেমন তার উপর।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে, তা অস্থিসন্ধি এবং মূত্রনালিতে জমা হতে থাকে। দীর্ঘ দিন জমতে জমতে তা ‘ক্রিস্টাল’-এর আকার নেয়। ফলে অস্থিসন্ধির নমনীয়তা নষ্ট হয়। অন্য দিকে, কিডনিতে বা মূত্রনালিতে পাথর জমার অনেক কারণের মধ্যে এটিও একটি কারণ।

পুষ্টিবিদদের মতে, বেশ কয়েক বছর আগেও ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে নানা খাবারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এখন নির্দিষ্ট কিছু খাবার ছাড়া, নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে সবই খাওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখতে হয় ওজন যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়।

প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। ছবি- সংগৃহীত

ইউরিক অ্যাসিড হলে কী কী খাওয়া বারণ, তা প্রায় সকলেই জানেন। কিন্তু কোন কোন খাবার বেশি করে খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তা কি জানেন?

১) ‘লো ফ্যাট’ দুগ্ধজাত খাবার

খেতে ভাল লাগলেও ‘ফুল ক্রিম’ বা ‘ফুল ফ্যাট’ যুক্ত দুধ এবং সেই দুধ দিয়ে বানানো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। বদলে প্রতি দিন ‘ডবল টোনড’ বা ‘স্কিমড’ দুধ থেকে বাড়িতে পাতা দই খেতে পারেন। বানাতে পারেন ঘোল, পনিরও।

২) ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড

হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সামুদ্রিক মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভাল। কিন্তু এই ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি সামুদ্রিক মাছে ক্ষতিকারক ‘পিউরিন’ নামক একটি যৌগ থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। তাই সার্ডিন, ট্রাউট বা টুনার মতো সামুদ্রিক মাছ না খেয়ে পমফ্রেট বা ইলিশের উপর ভরসা করতেই পারেন।

৩) ভিটামিন সি

গবেষণায় দেখা গিয়েছে ভিটামিন সি, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। শুধু লেবু বা সাইট্রাসজাতীয় ফল নয়, চেরি, স্ট্রবেরি বা টকজাতীয় যে কোনও ফলেই অল্প হলেও ভিটামিন সি থাকে। তাই প্রতি দিন সামান্য হলেও টক ফল খাওয়া উচিত।

৪) উদ্ভিজ্জ প্রোটিন

শরীর সুস্থ রাখতে প্রতি দিন খাবারে প্রোটিন রাখতেই হবে। এ দিকে প্রাণীজ প্রোটিন বেশি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যাবে। এমন সময়ে উদ্ভিদই ভরসা। শাকসব্জি খাওয়ার পাশাপাশি নানা রকম দানা, ডাল, মাশরুম খাবারে যোগ করতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

uric acid Gout
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE