Advertisement
E-Paper

কোভিডের পর নয়া আতঙ্ক হংকং ফ্লু! উপসর্গ কী? শিশু না বড়রা, কারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন?

উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের উপরূপ এইচ৩এন২-এ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০২৩ ২০:০৮
দীর্ঘ দিন কাশি আর সঙ্গে জ্বর, বিগত দু-তিন মাস জুড়ে এমন উপসর্গে ভুগছেন অধিকাংশই।

দীর্ঘ দিন কাশি আর সঙ্গে জ্বর, বিগত দু-তিন মাস জুড়ে এমন উপসর্গে ভুগছেন অধিকাংশই। ছবি: সংগৃহীত।

ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দেশ জুড়ে বেড়েছে ভাইরাল ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছেন অনেকে। জ্বর সারলেও কাশি, গলা খুসখুস থেকেই যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের উপরূপ এইচ৩এন২-এ আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর ভিড়। এই ভাইরাসের সংক্রমণের ক্ষমতা অন্যান্য ভাইরাসের তুলনায় অনেক বেশি। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রোগীর শরীর থেকে সহজেই অন্য লোকের শরীরে বাসা বাঁধতে ওস্তাদ এই ভাইরাস। এই ভাইরাসের প্রভাবে যে ফ্লু হয়, তাকে বলা হয় ‘হংকং ফ্লু’।

দীর্ঘ দিন কাশি আর সঙ্গে জ্বর, বিগত দু-তিন মাস জুড়ে এমন উপসর্গে ভুগছেন অধিকাংশ রোগী। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) সম্প্রতি জানাল, এই উপসর্গগুলির জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দায়ী ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের এইচ৩এন২ উপরূপ। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই এইচ৩এন২ উপরূপের কারণেই রোগীরা সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অন্য উপরূপগুলির তুলনায় এটি অনেক বেশি ক্ষতিকর, দাবি আইসিএমআর-এর।

উপসর্গ কী?

জ্বরের পাশাপাশি, এই ভাইরাসের আক্রমণে কাশি, নাক থেকে জল পড়া, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, গলাব্যথা ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ লক্ষ করা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়েরিয়া, বমি, সারা শরীরে যন্ত্রণা। অন্যান্য উপসর্গ ৩ দিনের মাথায় কমতে শুরু করলেও কাশির সমস্যা কমতে ১৫ দিনের বেশি লেগে যাচ্ছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই এইচ৩এন২ উপরূপের কারণেই রোগীরা সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই এইচ৩এন২ উপরূপের কারণেই রোগীরা সবচেয়ে বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ছবি: শাটারস্টক।

এই রোগ থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?

১) ফ্লু প্রতিরোধের জন্য শিশুদের এবং পূর্ণবয়স্কদের আলাদা দু’টি টিকা রয়েছে। প্রতি বছর সময় মতো সেই টিকাগুলি নেওয়া জরুরি। তবে ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার পর এই টিকা নিলে বিশেষ লাভ হবে না। আগেই নিতে হবে।

২) হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে জল বা সাবানের কোনও বিকল্প নেই। তবু যদি সব জায়গায় জল, সাবানের ব্যবস্থা না থাকে, তখন স্যানিটাইজ়ারের উপর ভরসা করতে হবে। কিন্তু হাত না ধুয়ে শুধু খাবার খাওয়া নয়, চোখ-মুখ বা নাকও স্পর্শ করা যাবে না।

৩) রাস্তাঘাটে বা ভিড়ের মধ্যে সংক্রামিত রোগীরা মিশে থাকেন। তাঁদের আলাদা করে চেনার উপায় থাকে না। তাই তাঁদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। না হলে মাস্ক পরার অভ্যাস পুনরায় শুরু করতে হবে।

ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় শিশুদের ক্ষেত্রে। বড়রা নানা রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলেও ছোটদের এই সব নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করানো খুব কঠিন। তার উপর অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা মুশকিল হয়। চিকিৎসকদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ফ্লুয়ে আক্রান্তের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বড়দের নানা রকম বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকানো গেলেও ছোটদের কিন্তু বোঝানো মুশকিল। তাই তাদের সময় মতো টিকা দেওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত জল বা তরল খাবার খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করানোর অভ্যাস করাতে হবে।

Influenza Viral fever
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy