শৃঙ্খলা, নিয়মে বাঁধা খাওয়াদাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম। এই তিনের উপর ভিত্তি করেই যাপন হর্ষবর্ধন রানের। বলিউড নায়ক অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। কেবল তা-ই নয়, ক্যারাভ্যানে চেপে পাহাড়ে জঙ্গলে ঘুরে বেড়ান হর্ষবর্ধন। সফরের সময়েও নিজে ক্যারাভ্যানে রান্না করে খান, নিয়মিত ব্যায়াম করেন। প্রকৃতির সঙ্গে আত্মীয়তা রয়েছে তাঁর। আর তাই রুটিনে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখেন তিনি। সম্প্রতি হর্ষবর্ধন তাঁর ছিপছিপে শরীরের রহস্য জানালেন।
সফরেও শরীরচর্চা করছেন হর্ষবর্ধন রানে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
এমনিতে সাধারণ ভারতীয়ের হেঁশেলে যা যা সহজলভ্য, সেই সব প্রাকৃতিক উপকরণের উপর ভরসা রাখেন তিনি। তবে সব কিছুর মধ্যে তাঁর রুটিনে যেটি রোজ থাকে, তা হল দারচিনি। হর্ষবর্ধনের কথায়, ‘‘দারচিনিই আমার ফ্যাট বার্নার। এই পৃথিবীর সমস্ত প্যাক করা পণ্য থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন, কারণ আপনি জানতেও পারবেন না, প্যাকেজিংয়ে কী কী আছে। আমি যথাসম্ভব আসল খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। যা কিছু ট্রেন্ডিং, তা এড়িয়ে চলি। বেশির ভাগ জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকি।’’ তা ছাড়া প্রতি দিন ভারোত্তোলন অভ্যাস করেন অভিনেতা।
আরও পড়ুন:
ফ্যাট ঝরানোর জন্য সত্যিই দারচিনির অবদান রয়েছে। দারচিনিতে রয়েছে উচ্চ-ফাইবার। তাই অনেক ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সক্ষম এটি। তা ছাড়া বিপাকক্রিয়াকেও উন্নত করতে পারে দারচিনি। ‘মাল্টিডিসিপ্লিনারি সায়েন্টিফিক জার্নাল’-এ ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, কিছু ইঁদুরকে দু’টি দল করে প্রত্যেকটিকেই উচ্চ ফ্যাটযুক্ত খাবার দেওয়া হয়। একটি দলের খাবারের মধ্যে দারচিনি ছিল। অন্য দলের ছিল না। প্রথম দলের ইঁদুরগুলির পেট মোটা হয়ে যায়। ওজনও বেড়ে যায়। অন্য দলের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা কম দেখা যায়। কারণ, খাবারের সমস্ত উপাদান সিনামালডিহাইডে পরিণত হয়। এটি এক প্রকার এসেনশিয়াল অয়েল, যা দারচিনির সুগন্ধের কারণ। এর ফলে খাবার খাওয়ার পরিমাণ কমে এবং তা ওজন বেড়ে যাওয়া রোধ করে।