জলপানে তামার পাত্র ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে বহু আগে থেকেই। কিন্তু আধুনিক নগরজীবনের গতিময়তার চাপে, হারিয়ে যেতে বসেছে সেই প্রথা। অথচ আয়ুর্বেদশাস্ত্র নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁরা কিন্তু বলছেন, তামার জগ বা গ্লাস ব্যবহার করলে মিলতে পারে হরেক উপকার। এমনকি, সারা রাত তামার পাত্রে জল ঢেকে রেখে সকালবেলায় খালি পেটে সেই জল খেলেও নানা রোগব্যাধি দূর হয় বলে মত তাঁদের।
থাইরয়েডের সমস্যায়
দেহে তামা বা কপারের পরিমাণ কমে গেলে থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অনেকের মতে, তামার পাত্র থেকে জল খেলে তামার ঘাটতি মিটে যেতে পারে। ফলে উপকার মিলতে পারে থাইরয়েড গ্রন্থির থেকে ক্ষরিত বিভিন্ন হরমোনের সমস্যায়।
হজমশক্তি বাড়ায়
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে তামার পাত্রে জল খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। উপকার মিলতে পারে অম্বল কিংবা গ্যাসের সমস্যাতেও। অনেকের মতে, খাদ্যনালিতে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া নিঃশেষ করতে তামা সাহায্য করে। কমতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও।
ক্ষত নিরাময়ে
দেহের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতস্থান তাড়াতাড়ি শুকোতে সাহায্য করে তামা। তা ছাড়া শরীরে জারণঘটিত চাপ কমাতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও তামার জলের জুড়ি মেলা ভার। তামার পাত্রে জল খেলে শরীরে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে বলেও মনে করেন কেউ কেউ।
প্রতীকী ছবি।
প্রদাহ কমাতে
তামায় থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। রোজ সকালে খালি পেটে তামার পাত্রে জল খেলে প্রদাহের সমস্যায় উপকার মিলতে পারে। যাঁরা বাতের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরাও উপশম পেতে পারেন বলেও মত বিশেষজ্ঞদের।
হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে
যাঁরা হার্টের রোগী এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের জন্য কাজে আসতে পারে তামার জল। এ ছাড়া ক্যানসারের আশঙ্কা কমাতেও সাহায্য করে তামা।
তবে মনে রাখতে হবে, সবার শরীর সমান নয়, সমান নয় বিভিন্ন মৌলের ঘাটতি ও চাহিদা। তাই যে কোনও অভ্যাস চালু করার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিন।