ঠোঁটের তলায়, জিভের নীচে ঘা হলে যন্ত্রণার শেষ থাকে না। কিছু খেতে গেলেই জ্বালা-যন্ত্রণা শুরু হয়। এই ধরনের ঘা কিছু সময় পরে নিজে থেকে সেরে গেলেও যত দিন ক্ষত থাকে, ততদিনই কষ্ট। কিছু ক্ষেত্রে মুখের ভিতর ঘা শুকোতে অনেক দেরি হয়। ছোট ছোট ঘা বা ক্ষত আলসারেও বদলে যেতে পারে। তাই বিপদ বেড়ে যাওয়ার আগেই সতর্ক হতে হবে। মুখের ভিতরের ঘা সারানোর কিছু ঘরোয়া উপায় আছে।
মুখগহ্বরের ঘা বা ক্ষত সারবে কী উপায়ে?
মধু
মধুতে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে। এটি ব্যথা কমাতে এবং দ্রুত ঘা শুকোতে সাহায্য করে।
ব্যবহার: এক চামচ মধু নিয়ে সরাসরি ঘা-এর উপর লাগান। দিনে কয়েক বার এটি করতে পারেন।
হলুদ
হলুদ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক। এর কারকিউমিন যৌগের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ আছে। এটি যে কোনও ধরণের ঘা, ক্ষত বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং ব্যথা কমাতে দারুণ কাজ করে।
আরও পড়ুন:
ব্যবহার: সামান্য গরম জল বা দুধের সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ঘা-এর উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন। তার পর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেল তেল
নারকেল তেল ঘা-এর উপর একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে, ফলে জ্বালা-যন্ত্রণা কম হয়।
ব্যবহার: অল্প পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে ঘা-এর উপর লাগিয়ে রাখুন। এটি সারা রাতও রেখে দিতে পারেন।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী। এটিও ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহার: এক কাপ জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। তা ছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।