কোলেস্টেরলের সমস্যা ফুটে ওঠে পায়েও। ছবি: প্রতীকী
মাঝবয়স পেরোলেই কোলেস্টেরলের সমস্যা ভাঁজ ফেলে কপালে। সেই দুশ্চিন্তা যে খুব একটা অসঙ্গত, এমনও নয়। ‘হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’ ও ‘লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন’, মানুষের দেহে মূলত এই দু’ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। এর মধ্যে দ্বিতীয়টি খারাপ কোলেস্টেরল। খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলেই দেখা দিতে পারে সংবহনতন্ত্রের সমস্যা। বেড়ে যায় স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি। অধিকাংশ সময়ে কোলেস্টেরলের সমস্যা বেড়ে গেলেও বোঝা যায় না। তাই সময় থাকতে উপসর্গগুলি চিনে নেওয়া জরুরি।
পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ
দেহের বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ছড়িয়ে পরে ধমনীর মধ্য দিয়ে। কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে সেই ধমনীগুলির ভিতর স্নেহ পদার্থের আস্তরণ তৈরি হয়। ফলে রক্ত চলাচলের পথ রুদ্ধ হয়ে আসতে পারে। একে বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘প্লাক’ তৈরি হওয়া। এই ধরনের প্লাক তৈরি হলে দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত পৌঁছনোয় সমস্যা দেখা দেয়। দেহের প্রান্তিক অঙ্গগুলির ধমনীতে তৈরি হওয়া এই সমস্যাকেই বলে ‘পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ’ বা ‘পিএডি’।
এই রোগের উপসর্গ কী কী?
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা বলছে, এই রোগে পায়ের একাধিক অংশে টান ধরার সমস্যা দেখা দিতে পারে। পায়ের পাতা, নিতম্ব, থাই ও ঊরুর পেশি সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় এই রোগে। হাঁটতে গেলে ব্যথা হতে পারে পায়ে। তা ছাড়া পা নীলচে হয়ে আসা, ক্ষত শোকাতে দেরি হওয়া কিংবা এক পায়ের পাতার উষ্ণতা অন্য পায়ের তুলনায় কম হওয়াও এই রোগের লক্ষণ। মনে রাখতে হবে, পায়ে যন্ত্রণা হওয়ার মানে কিন্তু এই না যে সমস্যা শুধু পায়েই সীমাবদ্ধ। দেহের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রক্তবাহগুলিতেও নীরবে একই সমস্যা তৈরি হতে পারে। কাজেই অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy