Advertisement
E-Paper

চিনের পর হংকংয়ে হানা দিল এইচএমপিভি! আতঙ্ক না ছড়িয়ে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ কেরলের

‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এইচএমপিভি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তা সত্ত্বেও আগে থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করল কেরল স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:২৭
HMPV

এইচএমপিভি ভাইরাসের আক্রমণ ঠেকিয়ে রাখতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে কেরল। ছবি: সংগৃহীত।

করোনার পর চিনে আবারও নতুন একটি ভাইরাসের উদয় হয়েছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) নিয়ে সে দেশে আতঙ্ক ছড়ালেও সরকারের তরফে তেমন কিছু জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশ হংকংয়ে জারি হয়েছে সতর্কতা। দু’টি দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রেখেছেন ভারতের স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। যদিও ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এইচএমপিভি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তা সত্ত্বেও আগে থেকে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করল কেরল স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বাড়ির বাইরে কিংবা জনবহুল এলাকায় যাওয়ার আগে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের।

এইচএমপিভি আসলে কী?

করোনা নয়, তবে করোনার মতো। তাই সাধারণ মানুষের মনে স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আমেরিকার ‘সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল’ (সিডিসি) এবং ভারতের ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, হাঁচিকাশির মাধ্যমেই রোগ ছড়ায় এই ভাইরাস। আমেরিকার সিডিসি জানাচ্ছে, করোনার অসংখ্য প্রজাতি ও উপপ্রজাতি রয়েছে। কিন্তু এইচএমপিভি-র ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত দু'টি প্রজাতি শনাক্ত করা গিয়েছে। ‘এইচএমপিভি-এ’ ও ‘এইচএমপিভি-বি’, যাদের আবার চারটি ভাগ রয়েছে এ১, এ২, বি১ ও বি২। চিনে ঠিক কোন প্রজাতি ছড়িয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।

এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা নিতে হবে?

১) সাবান এবং জল দিয়ে ভাল করে হাত ধুতে হবে। বিশেষ করে খাবার খাওয়ার আগে। চোখে-মুখে হাত দেওয়ার আগেও সতর্ক থাকতে হবে।

২) জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলাই ভাল। বাইরে বেরোনোর আগে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।

৩) সাধারণ সর্দিকাশি, জ্বর হলেও অবহেলা করা যাবে না। তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

কোভিড আর এইচএমপিভি কি এক?

যদিও চিকিৎসকেরা বলছেন, এইচএমপিভি এবং সার্স-কোভ ২ বা করোনা— এই দু’টি ভাইরাসের উৎসস্থল আলাদা। তবে এদের মধ্যে বেশ কিছু মিলও রয়েছে।

১) করোনা এবং এইচএমপিভি— দু’টিই শ্বাসনালি এবং শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে।

২) দু’টি ভাইরাসই ছোঁয়াচে। সংক্রামিত ব্যক্তির থেকেই রোগ দ্রুত ছড়ায়।

৩) কোভিড হলে প্রাথমিক ভাবে জ্বর, হাঁচিকাশি, গলায় ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যায়। এইচএমপিভি-র ক্ষেত্রেও লক্ষণগুলো প্রায় একই রকম।

৪) দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যুক্ত ব্যক্তি, বয়স্ক কিংবা শিশুদের শরীরে দ্রুত ভাইরাস দু’টি হানা দেয়।

HMPV Kerala Health Department Mask Virus attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy