ইতিমধ্যেই অনেকের জ্বরজ্বর ভাব। সর্দিকাশি, গলাব্যথায় কাবু। প্রতীকী ছবি।
কিছুতেই ছন্দে ফিরছে না মহানগরের আবহাওয়া! সঙ্গে আমজনতার স্বাস্থ্যও। রাস্তার ধারে চায়ের ঠেক হোক বা অফিসের ডেস্ক কিংবা মেট্রোর কামরা— কমবেশি সকলেই খুকখুক করে কাশছেন। কেউ বা নাক টানছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের সময়ে এটা পরিচিত ছবি। কিন্তু এ বছর যেন তার প্রকোপটা বেশি। এর জন্য দায়ী আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন।
কালীপুজো আসার আগেই হাওয়ায় হাল্কা শীতের আমেজ। ঋতু পরিবর্তনের সময় এসেছে। কখনও জোরে পাখা চালাতে হচ্ছে, কখনও বা গায়ে হালকা চাদর জরানোর প্রয়োজন পড়ছে। আর এই সময়েই মরসুমি সর্দি-কাশি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। ইতিমধ্যেই অনেকের জ্বরজ্বর ভাব। সর্দিকাশি, গলাব্যথায় কাবু। এ রকমটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কাশির ওষুধ খেয়েও তেমন লাভ হয় না? কাশি, গলাব্যথা কমাতে ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়।
১) লবঙ্গ: গলাব্যথা বা কাশি থেকে মুক্তি পেতে লবঙ্গ দারুণ উপকারী। একটি লবঙ্গ নিয়ে তাতে ভাল করে সৈন্ধব লবণ লাগিয়ে মুখে রাখুন। গলা ব্যথা, গলা খুসখুস, কাশির সমস্যার ভাল দাওয়াই লবঙ্গ।
২) মুলেঠি: শীতের সময়ে কাশি ও গলা খুসখুসের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে মুখে মুলেঠি রাখতে পারেন। মুলেঠি দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন। বেশ আরাম পাবেন।
৩) বড় এলাচ: গলাব্যথা হোক বা শুকনো কাশি, বড় এলাচেই হতে পারে আপানার মুশকিল আসান। এলাচে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
৪) বেসন কা শিরা: বেসনের সঙ্গে দুধ, ঘি, হলুদ আর গোলমরিচ দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। একে বলা হয় ‘বেসন কা শিরা’। এর মধ্যে দেওয়া যায় আদাও। সর্দি-কাশি হলে মাঝেমাঝেই এই পানীয় খাওয়া যেতে পারে। দ্রুত কষ্ট কমবে।
৫) দুধ-হলুদ: সর্দি-কাশি থেকে রেহাই পেতে রাতে ঘুমোনোর আগে গরম দুধে এক চা চামচ হলুদ মুশিয়ে খান। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গলাব্যথা, সর্দি-কাশি কমাতে তাই এই টোটকায় ভরসা রাখতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy