প্রথম ছবি ‘নাদানিয়া’তেই ‘সিক্স প্যাক অ্যাব্স’ দেখা গিয়েছিল সইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের। কেবল চরিত্রের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য নয়, মনমতো চেহারা পাওয়ার তাগিদে আজকালকার অধিকাংশ নায়কই সুঠাম, পেশিবহুল শরীর তৈরি করছেন। আর তাই তো প্রথম ছবিতেই কাঙ্ক্ষিত সুঠাম চেহারা পেতে অত্যন্ত কসরত করতে হয় তাঁকে। এ দিকে বিরিয়ানি ছাড়া চলে না ইব্রাহিমের। সুস্বাদু, মশলাদার খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হন ২৪ বছরের নায়ক। তা হলে কী ভাবে এই চেহারা বানালেন সারা আলি খানের ভাই? সম্প্রতি সেই রহস্য উদ্ঘাটন করলেন ইব্রাহিমের পুষ্টিবিদ নিকোল লিনহার্স কেদিয়া। তিনি কাজ করেছেন বীর দাস, কিয়ারা আডবাণীর সঙ্গেও।
নিকোলের মতে, বিশেষ করে ক্যামেরার সামনে যাঁদের কাজ, তাঁদের চেহারা ও কাজকর্মের জন্য পুষ্টি অপরিহার্য। শরীরে সঠিক পরিমাণে জ্বালানি দেওয়া হচ্ছে কি না, তার উপর নির্ভর করছে আপনার শক্তি, মেজাজ, ত্বক, সামগ্রিক শরীর কেমন থাকবে।
প্রথমেই ইব্রাহিমের খাদ্যাভ্যাস বদলানো হয়। তিনি ভুরজি, পরোটা, র্যাপ, শাওয়ারমার অনুরাগী। তার উপরে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর জন্য রেড মিটের উপর ভরসা রাখতেন। মুশকিল হল, পরিমাপ সঠিক ছিল না। নিকোলের কথায়, ‘‘আমাদের লক্ষ্য ছিল খাদ্যাভ্যাসে সামঞ্জস্য আনা। অর্থাৎ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভরা, বেশি ফাইবারযুক্ত, মৌরির গুণসমৃদ্ধ খাবার যুক্ত করা হয়েছিল ওঁর ডায়েটে।”
কিন্তু বিরিয়ানি বাদ দেওয়া হয়নি ডায়েট থেকে। ইব্রাহিমের সবচেয়ে পছন্দের খাবার। তাঁকে পুরোপুরি খাদ্যরসনা থেকে বঞ্চিত করতে চাননি নিকোল। তাই রন্ধনপ্রণালীতে খানিক অদলবদল করা হয়। ইব্রাহিমকে যে বিরিয়ানি রেঁধে দেওয়া হত, তাতে সাধারণ চালের পরিবর্তে থাকত ব্রাউন রাইস বা কিনোয়া, এবং তেলের পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়।
নিকোল জানান, অনেক সময়ই খালি পেটে ব্যায়াম করতেন ইব্রাহিম, যা একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বিশেষ করে ‘হাই-ইন্টেসিটি ওয়ার্কআউট’-এর সময়ে ক্ষতি হতে পারে শরীরের। তাই ব্যায়ামের আগে হালকা খাবার খাওয়ানো শুরু হয় তাঁকে। প্রি-ওয়ার্কআউট স্ন্যাক্স হিসেবে সাধারণত কলা ও বীজের মিশ্রণ খেতেন ইব্রাহিম। অনুশীলনের সময় জল পান করতেন, যা ইলেকট্রোলাইটে সমৃদ্ধ। তার ৯০ মিনিটের মধ্যে ভাল করে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হত নায়ককে। শেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করে মাত্র দু’মাসে ইব্রাহিম সিক্স প্যাক অ্যাব্সের লক্ষ্যে পৌঁছোন।