সুস্থ থাকতে দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত। কারণ, জল দেহকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, দেহে জলশূন্যতা দূর করে। কিন্তু জল পানের পর দেহে জলের ভারসাম্য তৈরি করতে ঠিক কতটা সময়ের প্রয়োজন?
আরও পড়ুন:
জল পানের পর কী ঘটে
জল পানের পর খাদ্যনালী দিয়ে তা পাকস্থলীর দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু জলের শোষণ মূলত ক্ষুদ্রান্ত্রে হয়ে থাকে। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জল পানের ৫ মিনিটের মধ্যে তা রক্তের সঙ্গে মিশতে শুরু করে। যদিও জল সম্পূর্ণরূপে শোষিত হতে কিছুটা সময় লাগে। দেখা গিয়েছে, এক গ্লাস জল পানের পর তার অর্ধেক শোষিত হতে ১১ থেকে ১৩ মিনিট সময়ের প্রয়োজন। অন্য দিকে, গ্লাসের সম্পূর্ণ জল শোষণের ক্ষেত্রে ৭৫ থেকে ১২০ মিনিট পর্যন্ত সময়ের প্রয়োজন।
জলশোষণ কিসের উপর নির্ভরশীল
১) জল পানের সময়ে পাকস্থলীর কতটা অংশ ভর্তি রয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, পেট ভর্তি থাকলে কেউ বেশি জল পান করতে পারে না।
২) জলের তাপমাত্রা এবং তার মধ্যে খনিজ উপাদানের উপস্থিতির উপরেও শোষণের হার নির্ভর করে।
৩) জল পানের আগে দেহে জলের মাত্রা কতটা রয়েছে তার উপরেও শোষণের পরিমাণ এবং গতি নির্ভর করে।
৪) বিশুদ্ধ এবং কম খনিজ যুক্ত জল সহজেই রক্তে শোষিত হয়। অন্য দিকে, শর্করা এবং খনিজে পরিপূর্ণ জল শোষিত হতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময়ের প্রয়োজন।
কখন শোষণ শেষ হয়
দেখা গিয়েছে, জল পানের প্রায় ৭৫ থেকে ১২০ মিনিট পর সারা দেহে সমান ভাবে তার বণ্টন সম্পন্ন হয়। তবে এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার জন্য জলকে কতকগুলি স্তরের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হতে হয়। পান করার পর জল প্রথমে কোষের রক্ত এবং দেহের গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গে (যেমন পাকস্থলী, হৃদপিণ্ড, কিডনি) প্রবেশ করে। তার পর পেশি, ত্বক এবং কলারসে প্রবেশ করে জল। আবার নির্দিষ্ট সময়ান্তরে জল ক্রমশ শরীর থেকে মূত্র এবং ঘামের আকারে বেরিয়েও যায়। তাই এক বারে বেশি জল পান করার পরিবর্তে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে অল্প অল্প করে জল পান করলে দেহে জলশূন্যতা ঘটবে না।