মস্তিষ্ক দেহকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকতে হলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বজায় রাখা প্রয়োজন। কিন্তু ব্যস্ত জীবনে অনেক সময়েই তা মনে থাকে না। ফলে প্রতি দিন নানা ভাবে মস্তিষ্কের উপর চাপ তৈরি হতে থাকে। কয়েকটি অভ্যাসে মস্তিষ্কের উপর বাড়তি চাপ কমতে পারে।
আরও পড়ুন:
১) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অনেকেই বিছানায় ইয়ারফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রতি দিন এই অভ্যাসে মস্তিষ্কের উপর চাপ তৈরি হয়। সময়ের সঙ্গে শ্রবণশক্তি কমে আসে। এমন কি এই অভ্যাস থেকে ব্যক্তির স্মৃতিলোপ পেতে পারে। অনেকে গান শুনতে শুনতে ঘুমোন। ঘুমের মধ্যে মস্তিষ্ক সারা দিনের চাপ ধীরে ধীরে মুক্ত করে পরের দিনের জন্য দেহকে তৈরি করে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে লিমফ্যাটিক সিস্টেমের যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু এই ভাবে কানে ইয়ার ফোন অনেক সময়ে লিমফ্যাটিক সিস্টেমে বাধা তৈরি করতে পারে।
২) মাড়ির সঙ্গে মস্তিষ্কের সুস্থতার যোগসূত্র রয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যাঁদের দাঁত এবং মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল নয়, অন্যদের তুলনায় তাঁদের হার্টের অসুখ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি থাকে। তাই দিনে অন্তত দু’বার দাঁত মাজা উচিত। রাতে দাঁত মাজার সময়ে ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করে দাঁত পরিষ্কার করা উচিত। দিনের অন্য সময়ে খাবার খাওয়ার পর জল দিয়ে ভাল করে মুখ ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। সম্ভব হলে মাউথ ওয়াশও ব্যবহার করা যায়।
৩) আশ্চর্যজনক মনে হলেও, বাথরুমে বেশি ক্ষণ সময় কাটালেও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘঠতে পারে। দীর্ঘ সময় মোবাইল নিয়ে বাথরুমে বসে থাকার অভ্যাসে দেহের রক্ত ক্রমশ পায়ে জমা হতে থাকে। তার ফলে রক্তচাপের তারতম্য ঘটে। কেউ কেউ এই অভ্যাসের ফলে জ্ঞানও হারাতে পারেন। তাই প্রয়োজনের বেশি সময় বাথরুমে কাটানো উচিত নয়।