শীতের মরসুমে ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা আর সর্দি হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। নাকের পথে জমে যায় মিউকাস, শ্লেষ্মা এবং শক্ত হয়ে যাওয়া সর্দি। বন্ধ নাক খোলার জন্য অনেকেই নাক খুঁটতে থাকেন অথবা নাক ঝা়ড়তে থাকেন। তাতে উল্টে নাসাপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও বা রক্তপাতও হতে পারে। এমনকী সজোরে নাক ঝাড়লে কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তার চেয়ে বরং সহজ উপায়ে নাকের পথ খুলে নিন।
১. নুন জল: স্যালাইন ন্যাজ়াল ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করুন। নুন জল দিয়ে বন্ধ নাক খুলে ফেলুন। নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি, অ্যালার্জি এবং সাইনাসের সমস্যা উপশমে কাজে লাগতে পারে এই পদ্ধতি। দু’কাপ জলে (ফুটিয়ে নেওয়া) এক চামচ নন-আয়োডাইজ়়ড নুন মিশিয়ে নিন। এ বার স্যালাইন সলিউশন নাকের এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে অন্য দিক দিয়ে বার করে দিতে হবে। ঠিক একই পদ্ধতি প্রয়োগ করে উল্টো নাকে স্যালাইন প্রবেশ করাতে হবে। দিনে ১-২ বার করলে মিউকাস পরিষ্কার করে দিতে পারবে।
২. স্প্রে: স্যালাইন সলিউশন দেওয়া স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। দোকান থেকে কেনা স্প্রে বদ্ধ নাকে ব্যবহার করতে পারেন। জলদি মিউকাস পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। শিশুদের নাক বন্ধ হয়ে গেলে অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা এই টোটকা প্রয়োগ করতে বলেন।
৩. কৃত্রিম আর্দ্রতা: সর্দিতে নাকের ভিতরের সূক্ষ্ম ঝিল্লি বা পর্দাগুলি ফুলে যায়। প্রদাহের কারণেও শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতার অভাব হলেও অনেক সময়ে নাক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ঘরে ‘হিউমিডিফায়ার’ যন্ত্র রাখলে এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলতে পারে। শরীরের জলাভাব মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও পান করতে হবে এ সময়ে।
৪. গরম জল: বন্ধ নাক খোলার পুরনো, সহজ পন্থা হল গরম জলের ভাপ নেওয়া। জল ফুটিয়ে নিন একটি বড় পাত্রে। তার উপর মুখ ঝুঁকিয়ে বসে থাকুন। চারদিক তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন যাতে বাইরের ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ না করতে পারে। গরম ভাপে মিউকাস গলে যেতে পারে দ্রুত।