মাথার ত্বকে আটকে থাকা, ঘাড়ে ঝরে পড়া, চুল নোংরা হওয়া— খুশকি নিয়ে বিরক্তি, ঝক্কির শেষ নেই। কিন্তু খুশকি হলে পাত্তা না দেওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই খুশকি ভেবে অবহেলা করে ফেলেন কেউ কেউ। কিন্তু একই রকমের লক্ষণ দেখা দেয় মাথার ত্বকের সোরিয়াসিস রোগের ক্ষেত্রেও। মাথার ত্বকে চাপ চাপ সাদা আঁশের মতো চামড়া আটকে থাকে, কখনও বা জ্বালা ও অস্বস্তিও হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকলে মাথার ত্বকে সোরিয়াসিস হতে পারে।
খুশকি না কি সোরিয়াসিস? ছবি: সংগৃহীত।
খুশকি এবং স্কাল্প সোরিয়াসিসের মিল অমিল
খুশকি এবং মাথার ত্বকের সোরিয়াসিসের উপসর্গ বেশ একই রকমের। সোরিয়াসিসের শুরুর সময়ে লক্ষণের মিল থাকে। মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হলে খুশকি হয়। ম্যালাসেজ়িয়া ইস্ট অথবা সেবেসিয়াস গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত তেল উৎপাদন হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। এ দিকে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ত্বকের কোষগুলিকে সঙ্কেত পাঠিয়ে যখন অস্বাভাবিক ভাবে দ্রুত গতিতে মামড়ি তৈরি করার নির্দেশ দেয়, তখনই স্কাল্প সোরিয়াসিস হয়। অনেকেই দু’টি অবস্থাকে গুলিয়ে ফেলেন, তাই চিকিৎসায় দেরি হয়ে যায়।
লক্ষণ দেখে কী ভাবে আলাদা করবেন?
১. খুশকি যেমন মাথার ত্বক এবং তার আশপাশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, সোরিয়াসিসে কপাল, ঘাড়, কানের পিছনেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
২. খুশকি হালকা এবং তেলচিটে হয়। রং মূলত সাদা। সোরিয়াসিসে আঁশের মতো মামড়িগুলি মোটা, শুষ্ক এবং রুপোলি রঙের।
৩. সোরিয়াসিসে মাথার ত্বকের কিছু এলাকা লাল হয়ে থাকে। মাথার চুলের সীমানা ছাড়িয়ে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়ে। খুশকির ক্ষেত্রে এই সমস্যা কম।
৪. দুই ক্ষেত্রেই চুলকানি হয় অসম্ভব। তবে সোরিয়াসিসে এর তীব্রতা খানিক বেশি হতেও পারে।
৫. সোরিয়াসিসে মাথার ত্বক এতই শুষ্ক হয়ে যায় যে, ত্বক ফেটে রক্তপাতও হতে পারে। খুশকিতে এই সমস্যা হয় না।