মুখশ্রী কতটা সুন্দর লাগবে, নির্ভর করে চুলের উপর। এক ঢাল চুল থাকলে যেমন বয়স অনেকটা কম লাগে, তেমনই চুল উঠে মাথা ফাঁকা হয়ে গেলে কমবয়সিকেও বয়স্ক দেখায়।
চুল ওঠার নানা কারণ থাকতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যের অভাব, অযত্ন, ভুল প্রসাধনীর ব্যবহার, অপরিচ্ছন্নতা, পুষ্টির অভাব—এমন নানা কারণ থাকতে পারে নেপথ্যে।
আরও পড়ুন:
প্রথমেই খুঁজে বার করতে হবে, চুল ঝরার কারণটা কী? চিকিৎসকেরা বলেন, চুলের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে পুষ্টির। কিছু কিছু ভিটামিন এবং খনিজ হেয়ার ফলিকল মজবুত করতে সাহায্য করে। তার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয়।
এই সব বাদাম জাতীয় খাবারগুলিতে মিলতে পারে সেই সব ভিটামিন এবং খনিজ:
কাঠবাদাম: প্রতি দিন কয়েকটি কাঠবাদাম খেলেও চুল হতে পারে মজবুত। এতে থাকা ভিটামিন ই এবং খনিজ রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। চুলের ফলিকল মজবুত করে চুল ঝরা রোধ করে। তা ছাড়া, এতে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে।
পেস্তা: খেতে যেমন সুস্বাদু, এতে পুষ্টিগুণও রয়েছে তেমন। পেস্তায় মেলে প্রোটিন, ভিটামিন বি৬, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এতে পাওয়া যায় কপার, ফসফরাস, পটাশিয়াম। রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে করে চুল ভাল রাখে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট।
কাজুবাদাম: জ়িঙ্ক এবং আয়রনে ভরপুর কাজুবাদাম চুলের জন্য খুব ভাল। এই দুই খনিজই চুলের জন্য জরুরি। অনেকেরই চুলের ডগা ফেটে যায়। এই ধরনের দুর্বল চুলগুলিকে মজবুত করতে সাহায্য করে জ়িঙ্ক। এ ছাড়াও এতে থাকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। চুল মসৃণ রাখতে, চুলের জেল্লা বজায় রাখতে ফ্যাটের গুরুত্বপূ্র্ণ ভূমিকা থাকে।
কাঠবাদাম, কাজু এবং পেস্তা— তিন ধরনের বাদাম ৪-৫টি করে মিশিয়ে রাখুন। দিনে ১০-১২টি বাদাম খেলে শুধু চুল নয়, ভাল থাকবে সামগ্রিক স্বাস্থ্য। ত্বকের জেল্লাও বাড়বে এতে। পাশাপাশি, ভাজাভুজি এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমানো দরকার। এ ছাড়াও, খেজুর, কিশমিশ এবং যে কোনও ফলই চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাওয়া যায় আমলকিও।