পুজো-পার্বণ, উপোসের দিনে ঘরে ফল থাকবেই। তার মধ্যে আপেল থাকবে না, তা কিন্তু হয় না। কারণ, আপেল বছরভরই মেলে। ডায়াবেটিক থেকে যে কেউ এটি খেতে পারেন। ছোটদেরও আপেল সেদ্ধ করে খাওয়ানো হয়।
আরও পড়ুন:
অনেক সময় পুজোয় একসঙ্গে অনেক আপেল আনলে তা বেশ কয়েক দিন থেকে গেলে নষ্ট হয়ে যায়। বাইরে থেকে বোঝা যায় না সব সময়। কী ভাবে বুঝবেন, আপেলটি খাওয়ার উপযুক্ত রয়েছে?
১। আপেলের বাইরের খোসাটি লক্ষ করে দেখুন, কোনও দাগ হয়েছে কি না। কালচে ভাব হয়ে থাকলে, সেই অংশটি কেটে দেখতে হবে, ভিতরেও এমন ছোপ হয়েছে কি না।
২। আপেলে হাত দিয়েও বোঝা যায়। শক্ত থাকলে ঠিকই আছে। কিন্তু কোনও একটি অংশ যদি হাত দিলে তলতলে মনে হয় বা নরম লাগে, তা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমন আপেল গোটা না খেয়ে কেটে ভিতরের অংশটা দেখুন।
৩। টাটকা ফলের নিজস্ব গন্ধ থাকে। ফল পুরনো বা নষ্ট হতে শুরু করলে গন্ধে তার আভাস মেলে। আপেলের বাইরের অংশ দেখে বা হাত দিয়ে পরীক্ষার পরে সেটি ঠিক মনে না হলে, গন্ধ শুঁকেও দেখতে পারেন।
প্রতিটি পরীক্ষা আপেল কেনার সময়েও করে দেখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপেল কেটে দেখা যাবে না, তবে বাইরে থেকে দেখে বুঝতে হবে।
কখন খাওয়া যাবে না?
· আপেলের গায়ে কালো ছোপ থাকলে।
· নরম হয়ে গেলে।
· ছত্রাক দেখা দিলে।
আপেল কী ভাবে অনেক দিন ভাল থাকবে?
১. একাধিক ফলের সঙ্গে আপেল রাখবেন না। প্রতিটি আপেল আলাদা করে খবরের কাগজে অথবা পেপার টাওয়ালে মুড়ে ফেলুন। তার পর সেটি ফ্রিজের ঝুড়িতে ভরে রাখুন। আপেল থেকে ইথিলিন গ্যাস বার হয়, যা আপেল দ্রুত পচিয়ে দেয়। এই পদ্ধতিতে রাখলে ইথিলিন গ্যাসের নির্গমনের মাত্রা কমে যায়।
২. শূন্য থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আপেল ভাল থাকে। ফ্রিজের তাপমাত্রা সেই মতো রাখতে পারেন। ফ্রিজে এক থেকে দু’সপ্তাহ আপেল ভাল থাকবে।
৩. খুব গরম না থাকলে, ফ্রিজে রাখার অসুবিধা হলে কাগজে মুড়ে আপেল কোনও ঝুড়িতে রাখতে পারেন। তবে অন্ধকার জায়গায়। সূর্যালোকে আপেল দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।