শুধু পা নয়, হাঁটার সময়ে হাতের পেশিও মজবুত হতে পারে। হাঁটাহাঁটিতে শরীরের নিম্নাংশের পাশাপাশি হাতও সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হাতের চলন ঠিক রাখলে ক্যালোরি পোড়ানোর গতিও বেড়ে যায়, শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে, পেশিও মজবুত হয়। হাঁটার সময়ে ভারসাম্য রাখার জন্য হাত সামান্য দোলে বটে, কিন্তু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাতের চলনের দিকে বিশেষ নজর দিলে শরীরের উপরের অংশও সক্রিয় হয়। এতে শুধু কাঁধ নয়, বাহু, বুক ও পিঠের পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণ হতে থাকে। ফলে হাঁটার সময় শরীর সামগ্রিক ভাবে সক্রিয় হয়। যার ফলে শরীরের উপরের অংশের মেদও ঝরতে পারে। হাঁটার কৌশল অল্প পরিবর্তন করলেই উপকার মিলবে। পায়ের পাশাপাশি হাত দু’টিকেও সক্রিয় রাখতে হবে। শিখে নিন কৌশল।
সঠিক ভঙ্গি ও হস্তচালনার পদ্ধতি
১. কেবল কনুই নয়, কাঁধ থেকে হাত চালাতে হবে হাঁটার সময়ে। এতে দেহের উপরিভাগের পেশিগুলি সক্রিয় থাকে।
২. প্রায় ৯০ ডিগ্রি কোণে কনুই বেঁকিয়ে হাত সামনে ও পিছনে চালাতে হবে। এই ভঙ্গিতে ক্যালোরি বেশি পোড়ে, পাশাপাশি কাঁধের উপর থেকে চাপ কমে।
হাঁটার সময়ে হস্তচালনা। ছবি: সংগৃহীত।
৩. সামনের মতোই হাত দু’টিকে পিছনের দিকে ঠেলতে হবে হাঁটার সময়ে। এর ফলে ট্রাইসেপ্স এবং পিঠের পেশি দৃঢ় হয়।
৪. শ্বাসের ছন্দে হাত নড়ালে শরীরের ছন্দ বজায় থাকে এবং ক্লান্তি কমে। এতে ফুসফুসের জোরও বৃদ্ধি পায়।
৫. হাঁটার সময়ে হাতের ভঙ্গিতে বৈচিত্র আনলে উপকার মিলবে। কখনও মাথার উপরে, কখনও বা দু’পাশে প্রসারিত করে হাঁটলে কার্ডিয়ো অনুশীলনের কাজ হয়ে যায়।
হাঁটার সময় হস্তচালনা করলে শরীরে ১০–১৫ শতাংশ বেশি ক্যালোরি খরচ হয়। নিয়মিত এই অভ্যাস বজায় রাখলে ওজন কমার পাশাপাশি দেহের ভঙ্গিও উন্নত হয়। হাঁটা শুরু করার সময় হস্তচালনার পরিধি ছোট রাখতে পারেন। পরে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিতে পারেন। এই অনুশীলনের সময়ে কাঁধ শক্ত করে রাখবেন না। প্রতি দিন অন্তত ২০–৩০ মিনিট এ ভাবে হাঁটলে ধীরে ধীরে পরিবর্তন চোখে পড়বে।