Advertisement
E-Paper

বোতল মুখে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে শিশু? কান্না থামাতে অনেক ক্ষণ চুষিকাঠি গুঁজে রাখেন? কী বিপদ হতে পারে, জানেন?

শিশুর মুখে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে বোতল ধরে রাখবেন না। শিশু যেন বোতল মুখে নিয়ে ঘুমিয়ে না পড়ে, সেটাও দেখতে হবে। তা না হলে কী হতে পারে, জেনে নিন।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪ ০৯:১১
How to Prevent Baby Bottle Syndrome, details here

শিশুর মুখে অনেক ক্ষণ বোতল থাকলে কী হতে পারে। ছবি: ফ্রিপিক।

শিশুর মুখে অনেক ক্ষণ ধরে দুধের বোতল ধরে রাখেন? শিশু ঘুমিয়ে পড়লেও মুখে বোতল থাকে? এমন অভ্যাস যদি থাকে, তা হলে সাবধান হতেই হবে বাবা-মাকে। সদ্যোজাত শিশু থেকে দু’বছর অবধি শিশুদের দাঁতে, মাড়িতে, মুখের ভিতরে এক ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। যার একটা কারণই হল দীর্ঘ সময় ধরে শিশুর মুখে বোতল বা চুষিকাঠি রেখে দেওয়া।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যে শিশু স্তন্যপান করে বা বোতলে করে জল বা দুধ খায়, তাদের মুখের ভিতর সংক্রমণ বেশি হতে পারে। অনেক সময় শিশুর মুখে বোতল দিয়ে বা চুষিকাঠি গুঁজে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করেন মায়েরা। এতে দীর্ঘ সময়ে মুখের ভিতর বোতলের নিপল থাকে। যা থেকে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে। যদি বোতলের মুখ নিয়মিত পরিষ্কার করা না হয়, তা হলে মারাত্মক সংক্রমণ ছড়াতে পারে শিশুর মুখের ভিতরে। জিভ, মাড়ি, ঠোঁট, গালের ভিতরের দিকে ছত্রাকের সংক্রমণের কারণে লালচে র‌্যাশ, ছোট ছোট ফুসকুড়ি দেখা দেয়। এই ধরনের ছত্রাকের নাম ‘ক্যানডিডা অ্যালবিকানস’। এদের সংক্রমণে শিশুদের যে রোগ হয়, তাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ‘বটল মাউথ সিন্ড্রোম’।

ছত্রাকের সংক্রমণ হলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়তে পারে। শিশুর যদি দাঁত গজায়, তা হলে সেই দাঁতে ক্ষয় হতে পারে। লক্ষণ আরও আছে। মা-বাবারা খেয়াল করবেন, শিশুর মাড়ি ফুলে লাল হয়ে গিয়েছে। জিভের উপর ছোট ছোট ফুসকুড়ি হয়েছে। খাওয়াতে গেলেই কাঁদবে শিশু, কারণ তাদের মুখের ভিতরে জ্বালা করতে শুরু করে।

বাবা-মায়েদের কী করণীয়?

১) শিশুদের মুখে বেশি ক্ষণ বোতল রাখবেন না। তার চেয়ে বাটি-চামচে করে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। আগেকার দিনে মায়েরা ঝিনুকে করে দুধ খাইয়ে দিতেন। সেটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

২) যদি বোতল দিতেই হয়, তা হলে নিয়মিত বোতলের মুখ গরম জলে পরিষ্কার করতে হবে। দুধ খাওয়ানোর পরে শিশুর দাঁতে বা মাড়িতে যেন দুধ লেগে না থাকে, সেটা দেখতে হবে।

৩) বোতলে করে যা-ই খাওয়ান, ভাল করে শিশুর মুখ ধুইয়ে দিন। তার পরে কিছুটা জল খাইয়ে দিন। এতে দাঁতের উপর লেগে থাকা কণাগুলো ধুয়ে যাবে।

৪) শিশুদের ফ্লোরাইডযুক্ত মাজন দিতে পারেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই মাজন বা ব্রাশ কিনবেন।

৫) এক বা দু’বছরের শিশুকে নিয়ম করে দু’বেলা ব্রাশ করাতে হবে। নরম ব্রাশই কিনবেন, যাতে শিশুর মাড়ি বা গালে খোঁচা না লাগে। জোরে জোরে না ঘষে আলতো করে উপরে-নীচে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ব্রাশ করাতে হবে।

৬) যদি দেখেন, শিশুর মাড়ি ফুলে গিয়েছে, মুখের ভিতরে লালচে র‌্যাশ হচ্ছে, তা হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

oral health Child Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy