দুর্গাপুজোর সময় এমন নজিরবিহীন বৃষ্টি আগে দেখেনি কলকাতা। সোমবার রাত থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ চলছে মঙ্গলবার সকালেও। বানভাসি শহরে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ। তবুও কাজের প্রয়োজনে অনেকেই রাস্তায় বেরোচ্ছেন। কেউ বাড়ির সামনে জমা জল পেরিয়ে অফিস যাচ্ছেন, কেউ আবার বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে নিজের গন্তব্যের উদ্দ্যেশে রওনা দিচ্ছেন। শুধু যাতয়াতের সমস্যা নয়, বর্ষাকে কেন্দ্র করে আরও এক রাশ অসুবিধাও আছে। জল-কাদা, জামাকাপড় শুকনোর অসুবিধা, নানা অসুখ, সর্দি-কাশি— বর্ষা মানেই রোগের বাড়বাড়ন্ত। এ ছাড়া, এই বর্ষায় ভিজে ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ার জন্য কিছু ছত্রাকঘটিত সমস্যাও হয়। তাই এই বর্ষাবাদলার দিনে একান্তই বাইরে বেরোতে হলে সতর্ক থাকতেই হবে।
বর্ষার আবহাওয়ায় জীবাণুরা অনেক দ্রুত হারে বংশবিস্তার করে। তাই রূপচর্চা থেকে শুরু করে চলতি জীবনেও নানা ক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে জরুরি সাবধানতা মানতে হবে জানেন?
১) বর্ষার অন্যতম সমস্যা জামাকাপড় ভিজে যাওয়া। ব্যাগে শুকনো জামা রাখুন। গন্তব্যে গিয়ে তা বদলে ফেলতে পারলে খুবই ভাল হয়। অতিরিক্ত মোজাও রাখুন ব্যাগে। ভিজে পোশাক গায়ে শুকোনো বা এসিতে শুকিয়ে নেওয়া একেবারেই ঠিক কাজ নয়। এই অভ্যাসের কারণেই শরীরে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়।
২) জুতো ভিজে গেলে ভেজা জুতো পায়ে বেশি ক্ষণ থাকবে না। সুযোগ থাকলে পা থেকে জুতো খুলে বসুন। এমনটা সম্ভব না হলে অন্তত মোজাটা বদলে পা ভাল করে মুছে নিন। বর্ষাকালে জল-কাদায় পা ভিজে গিয়ে পায়ের পাতায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই এ সময়ে বাড়ি ফিরে ভাল করে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ।
৩) অন্তর্বাস বাছার সময়েও সতর্ক হোন। বর্ষায় কোনও ভাবেই স্যাঁতসেঁতে কিংবা ভিজে অন্তর্বাস পরবেন না। অন্তর্বাসের ভেজা দিক ত্বকের সংস্পর্শে এলে ঘর্ষণের ফলে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। বর্ষায় গুমোট আবহাওয়া বা কড়া রোদের কারণে ভালই ঘাম হয়। তাই চেষ্টা করুন সুতির পোশাক বাছতে। সুতির অন্তর্বাসই পরার চেষ্টা করুন।
৪) বৃষ্টি ভিজলে বাড়ি ফিরেই গরম জল-সাবান দিয়ে স্নান সারুন। মাথায় বৃষ্টির জল বসে গেলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা তো আছেই, সঙ্গে বৃষ্টির জল থেকে মাথার ত্বকেও ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে মাথায় শ্যাম্পু করে নেওয়াই শ্রেয়।
৫) সংক্রমণ রুখতে বর্ষার সময় অ্যান্টি-ফাঙ্গাল সাবান আর পাউডার ব্যবহার করাই ভাল।