অনেক ক্ষণ ধরে পেট খালি থাকার ফলে গ্যাস জমতে শুরু করে পেটে। প্রতীকী ছবি।
শীতকাল মানেই উৎসবের মরসুম। বিয়েবাড়ি তো আছেই, সেই সঙ্গে পিকনিক, বড়দিন, নতুন বছর, পৌষপার্বণ— এ যেন উৎসবের মিছিল। বাঙালির উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া, ভূরিভোজ। খুব বেশি তেলমশলা খাওয়ার কারণে পেটের যে সমস্যাগুলি জন্ম নেয়, তার মধ্যে অন্যতম কোষ্ঠকাঠিন্য। সারা বছর যাঁরা সুস্থ থাকেন, তাঁদেরও শীতকালে এক বার হলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগতে হয়। ঠিক করে পেট পরিষ্কার না হওয়া, পেটে এবং কোমরে ব্যথা, অরুচি— এগুলি কোষ্ঠকাঠিন্যের কিছু উপসর্গ। এই সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না। কারণ দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুস্থ থাকতে এই শীতে খাওয়াদাওয়া নিয়ে সকলকেরই সচেতন থাকা জরুরি। নয়তো ভুগতে হতে পারে নানা শারীরিক সমস্যায়। শীতকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে থাকতে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?
খাওয়ার পরে স্নান করা
সারা দিন অফিসে পরিশ্রমের ক্লান্ত হয়ে বা়ড়ি ফিরেছেন। পেট খিদেয় চোঁ চোঁ করছে। তাড়াতাড়িতে স্নান না করেই খেতে বসলেন। অনেকেই এমন করে থাকেন। খাওয়ার সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। এর ফলে দ্রুত হজম হয়। খেয়ে ওঠার পরের মুহূর্তে স্নান করার পরে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।
দেরি করে দুপুরের খাবার খাওয়া
পুষ্টিবিদদের মতে, কী খাচ্ছেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কখন খাচ্ছেন। খাওয়ার সময়টা সব ক্ষেত্রেই ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সে রোগা হওয়া হোক বা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখা। অফিসে থাকলে খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় থাকে না। দেরি হয়ে যায়। অনেক ক্ষণ ধরে পেট খালি থাকার ফলে গ্যাস জমতে শুরু করে পেটে। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খাবার পেটে পৌঁছাতেই শুরু হয় বদহজম। তাই দুপুর ১২টা থেকে ২টোর মধ্যে খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
রাতে দই খাওয়ার প্রবণতা
দই খেতে যাঁরা ভালবাসেন, খাওয়ার সময়টা তাঁদের কাছে খুব একটা জরুরি নয়। দই নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর। এতে থাকা ভিটামিন সি, বি ১২, ভিটামিন এ, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম শরীর ভাল রাখে। তবে রাতে দই খাওয়ার প্রবণতায় বাড়তে পারে কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি।
খাওয়ার পরেই ঘুমানো
পাতের খাবার শেষ করেই সোজা ঘুমাতে চলে যান অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। শরীর সুস্থ রাখতে হলে এই অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ, খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। ফলে হজম দ্রুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। খাওয়ার পরেই ঘুমিয়ে পড়লে দেহের তাপমাত্রা কমতে থাকে। ফলে ঠিক মতো হজম হয় না। এতেই দেখা দেয় বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy