Advertisement
E-Paper

দিনে ৫ গ্রাম নুন খাওয়া নিরাপদ! কিন্তু নুন খাওয়া কমাবেন কী ভাবে? ৫ পরামর্শে ফল মিলতে পারে

হু বলছে, শরীরে নুনের মাধ্যমে সোডিয়াম যত বেশি যাবে, ততই বাড়বে অসুস্থতার ঝুঁকি। হার্ট, কিডনির রোগের সম্ভাবনা তো বাড়বেই, কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে যাওয়ার ফলে পাকস্থলীর ক্যানসার, অস্টিওপোরোসিস, এমনকি, স্থূলত্বের মতো রোগও বাসা বাঁধছে শরীরে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৫ ১০:৩৬
নুন খাওয়া কমাবেন কী উপায়ে, রইল কিছু পরামর্শ।

নুন খাওয়া কমাবেন কী উপায়ে, রইল কিছু পরামর্শ। ছবি : সংগৃহীত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই (হু) বেঁধে দিয়েছে নুন খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা। হু জানিয়েছে, এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক সারা দিনে ২-৫ গ্রাম নুন খেলে তাতে বিশেষ ক্ষতি নেই। কিন্তু ৫ গ্রাম নুন মানে চা চামচের এক চামচ নুন! তাতে কি সারা দিন চলে?

সারা দিনে যত বার যত রকমের খাবার খাওয়া হয় তার মধ্যে অধিকাংশ খাবারেই কোনও না কোনও ভাবে নুন মিশে থাকে। সে সকালের মাখন পাউরুটির প্রাতরাশ হোক, দুপুরের ডাল- তরকারি হোক বা বিকেলের জলখাবারের ভাজাভুজি। প্যাকেটজাত চিপস, ঝুড়িভাজা এবং অন্যান্য খাবারে এই নুনের পরিমাণ থাকে আরও বেশি ফলে ৫ গ্রামের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।

হু বলছে, শরীরে নুনের মাধ্যমে সোডিয়াম যত বেশি যাবে, ততই বাড়বে অসুস্থতার ঝুঁকি। হার্ট, কিডনির রোগের সম্ভাবনা তো বাড়বেই, কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরে যাওয়ার ফলে পাকস্থলীর ক্যানসার, অস্টিওপোরোসিস, এমনকি, স্থূলত্বের মতো রোগও বাসা বাঁধছে শরীরে। তাই দৈনিক নুন খাওয়ার মাত্রা কমানো জরুরি হয়ে পড়ছে।

কী ভাবে দৈনিক নুন খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবেন?

১। প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। যেকোনও প্যাকেটজাত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারে সোডিয়ামের মাত্রা থাকে অত্যন্ত বেশি। পাউরুটি, কেক, বিস্কিট, মাখন, সসেজ, বেকন, সালামি, চিপস, ভুজিয়া, ফ্রোজেন ফুড, ক্যানড স্যুপের মতো খাবারে সোডিয়াম বেশি থাকে।

২। তাজা শাক-সব্জি, ফলমূল খান। এতে সোডিয়াম থাকে নামমাত্র। মাংসও প্রক্রিয়াজাত না কিনে বাজার থেকে তাজা কিনে আনুন।

৩। সয় সস, টম্যাটো সস, চিলি সস, কাসুন্দি, মেয়োনিজ়, রেডিমেড চাটনি অনেকে কিছু না ভেবেই খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। এর প্রত্যেকটিতেই সোডিয়াম বা নুন থাকে অত্যন্ত বেশি পরিমানে। তাই খাবারের সঙ্গে এগুলি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

৪। রেস্তোরাঁর খাবারেও সোডিয়ামের মাত্রা থাকে অত্যন্ত বেশি। তাই বাইরে থেকে খাবার না আনিয়ে বাড়িতেই খাবার বানিয়ে নিন। এতে নুনের মাত্রায় নিজের নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

৫। সোডিয়াম যুক্ত নুনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হল পটাশিয়াম যুক্ত নুন। যা বাজারে সহজলভ্য। বাড়িতে রান্নায় এই নুন ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আর সবচেয়ে জরুরি হল জল খাওয়া। জল খেলে কিডনি শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম বের করে দিতে পারবে।

Salt Intake Control Daily salt consumption
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy