ঘাড়ে ব্যথা সাধারণত শোয়ার বা বসার ভঙ্গির দোষে হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে বসা সহকর্মীর দিকে তাকাতে পারছেন না। তাঁর দিকে তাকাতে গেলে গোটা শরীরটাকেই এক পাশে ঘুরিয়ে ফেলতে হচ্ছে। একটু বেকায়দা হলেই ঘাড়ে ব্যথা করছে। শুয়েও শান্তি নেই। এই ধরনের ব্যথা সাধারণত শোয়ার বা বসার ভঙ্গির দোষে হতে পারে। শরীরচর্চা করার সময়েও ভুল ভঙ্গির কারণে ঘাড় বা কাঁধের পেশিতে চোট লেগে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের ব্যথা যে সারা ক্ষণ হতে থাকে, তা নয়। তবে ভিতর ভিতর এমন একরকম কষ্ট হয়, যাতে সাধারণ কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে। ঘাড়ের নমনীয়তা কমে আসতে পারে। ফলে অদ্ভুত ভাবে ঘাড় শক্ত হয়ে যেতে পারে। ঘাড় বা কাঁধের এই ধরনের সমস্যা নিরাময়ে ব্যথা কমানোর ওষুধ খান অনেকেই। তবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
১) ঠান্ডা এবং গরম সেঁক
সাধারণত শরীরের কোনও স্থানে রক্ত চলাচল ব্যাহত হলে ব্যথা হয়। ঘাড় বা কাঁধের পেশিতে যে ব্যথা হয়, তা নিরাময়ে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক করতে দারুণ কাজ করে গরম সেঁক। কারও কারও ক্ষেত্রে আবার ঠান্ডা বরফের সেঁকও একই রকম কাজ করে।
২) সাধারণ স্ট্রেচিং
হালকা কিছু স্ট্রেচ এই ধরনের ব্যথায় আরাম দিতে পারে। তবে তা অবশ্যই প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে করতে হবে। স্ট্রেচ করার সময়ে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৩) নিজেই করুন মাসাজ
ঈষদুষ্ণ তেল নিয়ে হালকা হাতে নিজেই ঘাড়ে মাসাজ করতে পারেন। হাত ঘুরিয়ে কাঁধে বা ঘাড়ে মাসাজ করতে অসুবিধা হলে মাসাজ করার যন্ত্র কিনে নিতে পারেন।
৪) ফিজিয়োথেরাপি
ব্যথার তীব্রতা যদি খুব বেশি হয়, সে ক্ষেত্রে পেশাদার, দক্ষ ফিজিয়োথেরাপিস্টের সাহায্য নিতেই হবে। পেশির ব্যথা নিরাময়ে নির্দিষ্ট কিছু ভঙ্গি রয়েছে, যা ফিজিয়োথেরাপিস্টের সাহায্য ছাড়া করা যায় না।
৫) শরীরচর্চা কম
শরীরে কোনও জায়গায় ব্যথা হলে খুব চাপ দিয়ে শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা উচিত নয়। এমন অভ্যাসে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রথমে ব্যথা কমিয়ে, তার পর ধীরে ধীরে আবার ব্যায়াম শুরু করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy