৯ বছরের এক শিশু, যে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল, মেহন্দির গন্ধে তার খিঁচুনির সমস্যা বেড়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
কোনও শুভ অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলারা হাতে মেহন্দি লাগান। দেখতে সুন্দর লাগলেও মেহন্দির গন্ধ অনেকেরই পছন্দ নয়। মেহন্দির গন্ধ মৃগী রোগীর শরীরে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে, সাম্প্রতিক এক ঘটনায় এমনটাই প্রমাণ হয়েছে। শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৯ বছরের এক শিশু, যে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল, মেহন্দির গন্ধে তার খিঁচুনির সমস্যা বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের মতে, হাতে মেহন্দি লাগানোর পর মেয়েটির খিঁচুনি শুরু হয়, সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এর আগে ২০১৯ সালেও মেয়েটির সঙ্গে একই রকম ঘটনা ঘটে।
রোগীর অবস্থা যাচাই করার জন্য চিকিৎসকরা তার হাতে আবার মেহন্দি লাগান। এক চিকিৎসক বলেন, “মেহন্দি লাগানো হাতটি রোগীর বুকের কাছে আনা মাত্র তার খিঁচুনি শুরু হয়। রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে পড়ে। তখনই আমারা বুঝতে পারি মেহন্দির গন্ধ থেকেই এমনটা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মেহন্দি লাগালে সমস্যা হচ্ছে না, তার গন্ধ থেকেই শারীরিক অস্বস্তি হচ্ছে মেয়েটির। মেয়েটিকে মেহন্দি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’’
শিশুর এপিলেপসি বা মৃগীর ক্ষেত্রে কী কী লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে, এর সঙ্গে লড়ার ধাপগুলিই বা কী কী— তা না জানা থাকলে এমন অতর্কিত অসুখে দিশাহারা হয় অনেক পরিবারই। জন্ম থেকে তেমন কোনও লক্ষণ না থাকলে কেউ কেউ আবার এই অসুখের হঠাৎ হানাও বুঝে উঠতে পারেন না। ফলে চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হয়। আর এতেই ভয়ের শুরু। বিশেষ করে পরিবারে কারও এই অসুখ থাকলে, এই অসুখের শঙ্কা বাড়ে, তাই বেশি সচেতন থাকতে হয়। জ্বরের সঙ্গে খিঁচুনি হলে সব সময়েই যে তা মৃগী, তা নয়। তবে এদের একটা অংশ মৃগী রোগের শিকার হয়। তাই তেমনটা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy