আমলকি এমন একটি ফল যা সুমিষ্ট নয় বটে, তবে ফলটির পুষ্টিগুণ টেক্কা দিতে পারে আর পাঁচটি রসালো ফলকে। ভিটামিন সি, ই-তে ভরপুর। খনিজও রয়েছে যথেষ্ট। অনেকেই দিন শুরু করেন কাঁচা আমলকি বা আমলকির রস খেয়ে। কেউ কেউ আমলকির কষা ভাব কাটাতে সৈন্ধব নুন দিয়ে সেটি খান। তবে এর সঙ্গে অল্প একটু গোলমরিচ জুড়লে কি বাড়তি লাভ হবে? পুষ্টিবিজ্ঞান বলছে, এই দুইয়ের মেলবন্ধন শরীরের পুষ্টিগুণ শোষণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
পুষ্টিগুণ শোষণে সাহায্য করে
গোলমরিচে ‘পিপারিন’ নামক একটি উপাদান থাকে। এটি শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে এমন ভাবে প্রভাবিত করে যাতে আমাদের পক্ষে খাবারের পুষ্টিগুণ শরীরের শোষণ করা সহজ হয়। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গোলমরিচের উপস্থিতিতে রক্তে অনেক বেশি কার্যকরভাবে মিশতে পারে।
ভিটামিন সি-এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি
আমলকিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-থাকে। গোলমরিচ এই ভিটামিন সি-কে শরীরে দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে এবং এর প্রদাহনাশক গুণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি-তে রয়েছে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা যা জ্বর, সর্দিকাশির মতো অসুখ ঠেকাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন:
হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি
আমলকি হজমে সহায়ক উৎসেচকের নিঃসরণে সাহায্য করে। গোলমরিচ খাদ্যের পুষ্টিগুণ শোষণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে পেটফাঁপা, বদ হজমের সমস্যা কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
গোলমরিচ বিপাকহার বৃদ্ধি করে মেদ গলাতে সাহায্য করে। আমলকি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। ফলে আমলকির ডিটক্স করার ক্ষমতার সঙ্গে গোলমরিচ যুক্ত হলে শরীরের মেদ ঝরানো সহজ হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেও আমলকি এবং গোলমরিচের মেলবন্ধন কার্যকরী।
খাওয়ার নিয়ম
উপকরণ: ১টি তাজা আমলকির রস (বা ১ চামচ আমলকি গুঁড়ো) এবং এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো।
পদ্ধতি: হালকা গরম জলের সঙ্গে আমলকির রস এবং সামান্য গোলমরিচ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। স্বাদের জন্য সামান্য মধু মেশানো যেতে পারে। আবার টাটকা আমলকি কুচিয়ে গোলমরিচ ছড়িয়েও খাওয়া যায়।