Advertisement
E-Paper

উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই কোলন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব! কী ভাবে সতর্ক হবেন মারণরোগ নিয়ে

প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কোলোরেক্টাল ক্যানসারের নিরাময় সম্ভব। তাই সময় মতো স্ক্রিনিং করানো শুরু করা দরকার। ক্যানসার চিকিৎসকের থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৫ ১৭:৩২
কোলন ক্যানসার আগে থেকেই শনাক্ত করা সম্ভব।

কোলন ক্যানসার আগে থেকেই শনাক্ত করা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।

রোজ আপনি যা খান, সেই খাবারের পুষ্টিগুণ রক্তে মিশে যাওয়ার পর খাবারের অবশিষ্টাংশ জমা হয় কোলনে। আর সেখানেই যদি কোষ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সারা বিশ্বে যে যে ক্যানসারের দাপট সবচেয়ে বেশি, সেগুলির মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কোলন ক্যানসার। ভারতের ক্ষেত্রে সেই সংখ্যাটি ৬। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে এই রোগের প্রকোপ। অনেক সময়েই দেরিতে উপসর্গ দেখা দেয় বলে চিকিৎসার সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বাতলে দিচ্ছেন ক্যানসার চিকিৎসক সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়।

চিকিৎসক জানাচ্ছেন, উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে কোলন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব। তার জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের প্রয়োজন। তাঁর কথায়, ‘‘একাধিক ক্যানসারের মতো কোলন ক্যানসারের জন্যও স্ক্রিনিং হয়। সাধারণ ব্যক্তিদের, অর্থাৎ যাঁদের উপসর্গ নেই, তাঁদের পরীক্ষা করে দেখা হয়, শরীরে কোলন ক্যানসারের প্রকোপ শুরু হয়েছে কি না।’’

উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে কোলন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব।

উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে কোলন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।

যাঁদের কোনও লক্ষণ বা উপসর্গ নেই, তাঁদের শরীরেই স্ক্রিনিংয়ের পরীক্ষাগুলি করা হয়। কোলন ক্যানসারের জন্যও তাই স্ক্রিনিং করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। এগুলি রোগের সম্ভাব্য লক্ষণগুলি শনাক্ত করতে সাহায্য করে। যদি স্ক্রিনিংয়ে উদ্বেগজনক কিছু চোখে পড়ে, তা হলে পরবর্তী পদক্ষেপ সুপারিশ করবেন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য সম্পর্কে আরও তথ্যের জন্য আরও কয়েকটি পরীক্ষার প্রয়োজন পড়তে পারে।

মলের দু’টি পরীক্ষা করে স্ক্রিনিং হয় বলে জানালেন চিকিৎসক—

১. ‘স্টুল ফর অকাল্ট ব্লাড টেস্ট’: মল দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে কি না, সেটি পরীক্ষা করা হয়। খালিচোখে নজরে না না আসার ঝুঁকি থাকে বলে মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষা হয়। বছরে এক বার পরীক্ষা করালেই হয়।

২. ‘স্টুল ফর ফিকাল ডিএনএ টেস্ট’: শরীরের ভিতরে ক্যানসার থাকলে অস্বাভাবিক ডিএনএ তৈরি হয়। সেগুলি মলের সঙ্গে বেরোনোর সম্ভাবনা থাকে। মল পরীক্ষা করে দেখা হয়, অস্বাভাবিক ডিএনএ আছে কি না। তিন বছর অন্তর অন্তর এই পরীক্ষা করানো হয়।

এই দু’টি পরীক্ষা ছাড়াও কোলোনোস্কোপি করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। দশ বছরে এক বার এই পরীক্ষা করালেই হয়।

ক্যানসার চিকিৎসক কবে থেকে শুরু করা উচিত?

চিকিৎসক জানাচ্ছেন, সাধারণত ৪৫ বছর বয়স থেকে কোলন ক্যানসারের স্ক্রিনিং শুরু করা উচিত। তবে যাঁদের বংশে ক্যানসারের ইতিহাস রয়েছে, বা জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাঁদের অস্বাভাবিক জিন শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের আরও কম বয়স থেকেই শুরু করে দেওয়া উচিত।

প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কোলোরেক্টাল ক্যানসারের নিরাময় সম্ভব। কিন্তু এক বার ক্যানসার কোলনের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে, তার চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। এই কারণে ৪৫ বছর বয়স থেকেই নিয়মিত কোলোরেক্টাল ক্যানসার স্ক্রিনিং করা প্রয়োজন।

Colon Cancer Symptoms of Colon Cancer Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy