ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে শরীরচর্চা উপকারী। যাঁদের সুগার রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়মিত কার্ডিয়ো করলে উপকার পাওয়া সম্ভব। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, টাইপ টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ওয়েট ট্রেনিংও খুবই কার্যকরী।
জিমে ভারী ওজন-সহ (ওয়েট ট্রেনিং) নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ, ভারী ওজনের ফলে পেশির ঘনত্ব সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে। শরীর থেকে মেদ দূর হতে শুরু করে। তার ফলে শরীর অনেক বেশি পরিমাণে শর্করা শোষণ করতে পারে। সেই সঙ্গে শরীরে ইনসুলিনের প্রয়োজনীয়তা কমতে থাকে। ফলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
আরও পড়ুন:
ভারী ওজন-সহ শরীরচর্চা করলে দেহে রক্ত সঞ্চালন আরও সচল হয়। তার ফলে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি বা ডায়াবিটিক নিউরোপ্যাথি সংক্রান্ত জটিলতা দূরে থাকে। পাশাপাশি, দেহে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা সঠিক থাকলে, তা রক্তচাপ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সার্বিক ভাবে ওজন সহ ব্যায়ামের ফলে হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
এ ছাড়াও ওয়েট ট্রেনিং, শারীরিক পারফরম্যান্স এবং দেহের সামগ্রিক ব্যালান্স আরও দৃঢ় করতে সাহায্য করে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সময়ের সঙ্গে পেশি আরও শক্ত হতে শুরু করলে সেখানে গ্লুকোজ় দ্রুত শোষিত হয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ভারী ওজন-সহ নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত দীর্ঘকালীন জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
তবে জিমে কতটা ওজন নেওয়া উচিত, তা নির্ভর করে ব্যক্তির বয়স এবং শারীরিক সুস্থতার উপর। ওজন নিয়ে শরীরচর্চা সব সময়েই কোনও প্রশিক্ষকের অধীনে করা উচিত। এর ফলে চোট-আঘাতের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।