দ্বিতীয় বার মা হচ্ছেন অভিনেত্রী গওহর খান। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের প্রথম বার মা হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে প্রথম সন্তান জ়েহানের জন্ম দেন তিনি। সন্তানধারণের সময় স্বাভাবিক কারণেই বেশ খানিকটা ওজন বেড়েছিল অভিনেত্রীর। তবে সন্তানপ্রসবের পর ১০ দিনের মাথায় ১০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। অবাক হচ্ছেন? গওহর কিন্তু নিজেই এই কথা খোলসা করেছেন অনুরাগীদের কাছে। কী ভাবে এত তাড়াতাড়ি ওজন ঝরালেন তিনি? তবে কি সন্তানের কথা না ভেবে প্রসবের পরেই কড়া ডায়েট শুরু করেছিলেন গওহর?
না, ওজন ঝরানোর জন্য কোনও রকম কড়া ডায়েট করেননি গওহর। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমি যে খুব তাড়াতাড়ি ওজন ঝরিয়ে একবারে তন্বী হতে চেয়েছিলাম, এমনটা নয়। নিজের উপর ওজন ঝরানোর বিষয় কোনও অতিরিক্ত চাপ দিইনি। আমি আমার মুখ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিলাম, তবে অস্বাস্থ্যকর পন্থা মেনে নয়। আমি যা-ই করেছি, নিয়ম মেনে করেছি।’’
টানা ছ’মাস জ়েহানকে স্তন্যপান করিয়েছেন গওহর। সন্তান যাতে যাবতীয় পুষ্টি পায়, সে দিকে কড়া নজর ছিল তাঁর। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘প্রথম ছ’মাস আমি কিন্তু আমার ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট-প্রোটিন-ফ্যাটের সঠিক ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করতাম। আমার সন্তান যাতে সঠিক পুষ্টি পায়, সেটা আমার কাছে পুরনো ড্রেসে ফিট হওয়ার থেকেও বেশি জরুরি ছিল।’’
সন্তান প্রসবের ছ’মাস পরে গওহর নিরামিষ খেতে শুরু করেন। দিনে তিন বার খাবার খেতেন তিনি পুরোটাই ছিল স্যুপ আর স্যালাড নির্ভর। মাছ-মাংস ছেড়ে স্যালাড আর স্যুপ খেয়ে আর খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েই নাকি চটজলদি ফলাফল পেয়েছেন তিনি। গওহর বলেন, ‘‘লোকে ভাবেন, কোনও নামীদামি ফিটনেট প্রশিক্ষণ কিংবা পুষ্টিবিদের সাহায্য নিয়েই বুঝি আমার এতটা ভোলবদল হয়েছে। তবে আমি কারও থেকে কোনও সাহায্য নিইনি। আমি নিজের মনের কথা শুনেছি মাত্র।’’
আরও পড়ুন:
আপনিও কি সদ্য মা হয়েছেন? কী ভাবে ওজন কমাবেন ভাবছেন? মেনে চলতে পারেন ৫ উপায়।
১) ডায়েটের উপর নজর দিন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে। ভুলেও ক্র্যাশ ডায়েট করবেন না।
২) চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হালকা শরীরচর্চা করতে পারেন। তবে এখনই খুব বেশি ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করবেন না। যোগাসন করতে পারেন, উপকার পাবেন।
৩) এই সময় একটু বেশি খিদে পেতে পারে। তবে প্যাকেটজাত খাবার, ভাজাভুজি কিংবা রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলুন। হালকা খিদে মেটাতে ড্রাই ফ্রুটস, মাখানা, ফল খেতে পারেন।
৪) ডায়েট থেকে ময়দা আর চিনি একেবারে বাদ দিয়ে দিন। মিষ্টি খেতে মন চাইলে খেজুর, কিশমিশ খেতে পারেন।
৫) সময় করে ঘুমোতে হবে আর প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।