ভারতীয় হেঁশেলে স্টিলের বাসনকোসনের ব্যবহার বহুল পরিমাণে। উচ্চবিত্তদের ঘরে হয়তো সমান্তরালে কাচের, চিনামাটির বাসনও ব্যবহৃত হয়। কিন্তু সিংহভাগের রান্নাঘরে স্টিলের বাসনের আধিক্যই বেশি। একাধারে টেকসই এবং পরিষ্কার করা সহজ। দামও সাধারণের আয়ত্তে। কিন্তু কিছু খাবারের জন্য স্টিলের পাত্র আদপে উপযুক্ত নয়। খাবারের সঙ্গে ধাতুর বিক্রিয়া ঘটে স্বাদ, গঠন এবং পুষ্টির মান হারাতে পারে। খাবারকে সতেজ, সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে হলে কিছু খাবারকে অন্য ধাতুর পাত্রে রাখতে হবে।
আচার
নুন, তেল এবং লেবু, ভিনিগার বা তেঁতুলের মতো প্রাকৃতিক অ্যাসিডে ভরা থাকে আচার। এগুলি ধাতুর সঙ্গে মিশে বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। উৎকৃষ্ট মানের স্টেনলেস স্টিল না হলে আরওই খারাপ। এর ফলে স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে। ধাতব স্বাদ চলে আসতে পারে আচারে। খুব বেশি দিন টাটকাও থাকবে না। আচারের জন্য স্টিলের তুলনায় কাচের বয়ামই ভাল।
দই
দই প্রাকৃতিক ভাবে অ্যাসিডিক। তাই স্টিলের পাত্রে দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করলে, স্বাদ বদলে যেতে পারে। কখনও বা মজেও যেতে পারে। গঠনও পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে অনেক ক্ষেত্রে। তাই সেরামিক বা কাচের বাটিতে দই পাতা উচিত।
স্টিলের পাত্রে দীর্ঘ সময় ধরে দই সংরক্ষণ করা উচিত নয়। ছবি: সংগৃহীত।
লেবু
স্টিল এবং লেবুর রস মিশে গিয়ে বিক্রিয়া ঘটায়। তাই লেবু দিয়ে তৈরি খাবারের পদ স্টিলের পাত্রে রাখা উচিত নয়। নয়তো খাবারের টকটক স্বাদই টিকবে না বেশি ক্ষণ।
আরও পড়ুন:
টম্যাটো
টম্যাটোর গ্রেভি যে খাবারে বেশি থাকে, যেমন পনির বাটার মাসালা বা ফুলকপির রোস্ট অথবা টম্যাটোর চাটনি, সেগুলি দীর্ঘ দিন স্টিলের পাত্রে রাখলে বিক্রিয়া ঘটতে পারে। ফলে খাবারের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে পুষ্টিগুণ কমে যেতে পারে।
ফল
স্টিলের বাটিতে কাটা ফল বা ফলের স্যালাড বেশি ক্ষণ রাখলে, সেগুলি নেতিয়ে যেতে পারে। এমনকি স্বাদও বদলে যেতে পারে। ফলর রস ধাতুর সঙ্গে মিশে গিয়ে অল্পবিস্তর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। বায়ুরোধী কাচের পাত্রে ফলমূল রাখলে সেগুলি টাটকা থাকে।