বন্ধুর থেকে নামি সংস্থার বেশ কিছু প্রসাধনী উপহার পেয়েছেন। সচরাচর মেকআপ করেন না। তাই সেগুলির রোজ ব্যবহার করতে হয় না। দামি জিনিস, যাতে তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যায় তাই একটু বুঝে শুনেই ব্যবহার করেন। এর ফলে কোনও কোনও প্রসাধনীর মেয়াদও পেরিয়ে যায়। কিন্তু প্রাণে ধরে তা ফেলে দিতে পারেন না। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, সংক্রমণজনিত সমস্যার শুরু সেখান থেকেই। মুখে র্যাশ, ব্রণর সমস্যা বেড়ে গেলে অনেকেই প্রসাধনীর গুণগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন। সকলের ত্বকে সব ধরনের প্রসাধনী নিরাপদ নয়। সে কথা ঠিক। তা ছাড়াও ত্বকে সংক্রমণজনিত সমস্যার মূল কারণ লুকিয়ে থাকে তার মেয়াদে।
আরও পড়ুন:
মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী মাখলে ত্বকে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) ত্বকে অস্বস্তি
দিনে দিনে মেপআপ প্রসাধনীর মধ্যে থাকা রাসায়নিকের চরিত্র বদলাতে থাকে। ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে থাকে। সেই প্রসাধনী মুখে ব্যবহার করলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতেই পারে। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ধরনের প্রসাধনীর ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
২) অ্যালার্জি
দামি সংস্থার মেকআপ প্রসাধনী ব্যবহার করে হঠাৎ মুখ লাল হয়ে গিয়েছে? জ্বালাও করছে? ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী মাখলে র্যাশ তো হতেই পারে। তা ছাড়াও ত্বকে এমন ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে, যা আগে কখনও হতে দেখেননি।
আরও পড়ুন:
৩) চোখের সমস্যা
আইলাইনার, মাস্কারা, নকল চোখের পাতার মতো সাজগোজের জিনিসের মেয়াদ পেরিয়ে গেলে, তা মোটেই ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ধরনের প্রসাধনী ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর। কনজাঙ্কটিভাইটিস, ড্রাই আইজ় বা চোখ জ্বালা বা চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দিতেই পারে।