Advertisement
E-Paper

খেতে বসে দরদর করে ঘামেন? হাইপারহাইড্রোসিসের সমস্যা থাকলে কাদের মাথা ঘামানো জরুরি?

ঘাম বেশি হওয়াটা সাধারণত ক্ষতিকারক নয়। তবে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় মাত্রাতিরিক্ত ঘাম উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। অত্যধিক ঘাম হওয়ার সমস্যাকে বলা হয় হাইপারহাইড্রোসিস। জেনে নিন, কোন ক্ষেত্রে বেশি ঘাম ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৪৪
ঘাম বেশি হলেও কেন সতর্ক থাকা জরুরি?

ঘাম বেশি হলেও কেন সতর্ক থাকা জরুরি? ছবি: এআই।

গরমে ঘেমে চান করে যান কম-বেশি প্রায় সকলেই। এক এক জনের ক্ষেত্রে ঘাম হওয়ার পরিমাণ আলাদা। কেউ কম ঘামেন। কারও আবার বেশি ঘাম হয়। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের শীতকালেও ঘাম হয়। কেউ খেতে বসলে ঘেমে যান, কারও আবার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসেও হাত-পা ঘামে। কিন্তু ঘাম নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না অধিকাংশই।

অনেক সময়ে ঘাম অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। অত্যধিক তাপমাত্রা ঘামের একমাত্র কারণ নয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে কোনও শারীরিক কসরত করলেও অনেকে ঘেমে যান। তবে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় নেই। শরীরের অতিরিক্ত জল এবং খনিজ পদার্থ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ঘামের প্রধান কাজ হল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা। শরীর ঠান্ডা রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ঘাম। এ ছাড়াও ঘাম হওয়ার কিছু উপকারিতা আছে। সেগুলি কী কী?

ত্বক যত্নে রাখে: ঘাম হল জীবাণু এবং ব্যাক্টেরিয়া থেকে ত্বকের অন্যতম সুরক্ষা। ঘাম হওয়ার সময়ে ত্বকের ছিদ্রগুলি উন্মুক্ত হয়ে যায়। ফলে ত্বকের কোষে জমে থাকা তেল, ময়লা ঘামের মধ্যে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। এই ময়লা ও তেল জমেই ব্রণ তৈরি হয়। ঘাম ব্রণর সমস্যা প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও ত্বকের কোষগুলি প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং অক্সিজেন দিয়ে পুষ্ট করে ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

পিত্তাশয়ে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমায়: বিভিন্ন খনিজ পদার্থ কিডনিতে জমা হয়ে পাথরের সৃষ্টি হয়। ঘাম সেই খনিজ পদার্থগুলি শরীরের বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। ফলে পিত্তাশয়ে পাথরের আশঙ্কা কম থাকে।

ওজন কমায়: শরীরচর্চার পর যে ঘাম হয়, তা আসলে জমে থাকা ক্যালোরি। শারীরিক কসরতের মাধ্যমে প্রতি দিন এ ভাবে নিয়ম করে ঘাম ঝরালে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

অত্যধিক ঘাম বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষতিকারক নয়। তবে কিছু বিশেষ শারীরিক অবস্থায় বেশি ঘাম উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। অত্যধিক ঘাম হওয়ার সমস্যাকে বলা হয় হাইপারহাইড্রোসিস। অনেক সময় জিনগত কারণেও বেশি ঘাম হতে পারে। কোন ক্ষেত্রে বেশি ঘাম ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে?

১) অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়।

২) শরীরে থাইরয়েডের রোগ বাসা বাঁধলে।

৩) দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগলে।

৪) পার্কিনসন্স রোগ থাকলে।

৫) ঋতুবন্ধের সময়ে।

৬) হার্টের অসুখ থাকলে।

৭) লিউকিমিয়া বা লিম্ফোমা ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধলে।

Sweat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy