মিউইং করলে মুখের মেদ ঝরবে? ছবি: সংগৃহীত।
কিছুই করছেন না, কিন্তু মুখ ফুলে ঢোল হয়ে চলেছে। শিশুদের এমন ফোলা গাল দেখতে ভাল লাগে। কিন্তু প্রাপ্তবয়সে এসে মুখের আকার এমন হতে থাকলে ‘গাল ফোলা গোবিন্দর মা’-এর তকমাই জোটে!
মুখের এই ফোলা ভাব কমাতে অনেকেই নিয়ম করে ব্যায়াম করেন। আবার, ‘জ লাইন’ বা চোয়াল সুন্দর দেখাতে সারা ক্ষণ জাবর কাটার মতো চিউইং গাম চিবিয়ে চলেন। সকলের অলক্ষে স্নানঘরের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখের নানা রকম অঙ্গভঙ্গিও করেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। তবে মুখের এই ফোলা ভাব কমাতে ইদানীং সমাজমাধ্যমে বিশেষ একটি পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তার পোশাকি নাম হল ‘মিউইং’। তার মানে কি সারা ক্ষণ বিড়ালের মতো মিউ মিউ করলেই মুখে জমা মেদ ঝরে যাবে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, ‘মিউয়িং’ নামকরণের সঙ্গে কিন্তু বিড়ালের ডাকের কোনও সম্পর্ক নেই। ১৯৭০ সালে ব্রিটিশ দন্ত্যচিকিৎসক (অর্থোডেন্টিস্ট) জন মিউ প্রথম এই পন্থার উল্লেখ করেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ‘অর্থোট্রপিক্স’ বলা হয়। আর সাধারণের সুবিধার জন্য জন মিউয়ের নাম অনুসারে মুখগহ্বরের বিশেষ এই ব্যায়াম বা ভঙ্গিকে বলা হয় মিউইং।
‘মিউইং’ অভ্যাস করলে কী উপকার হয়?
১) গ্রীবা আর চোয়ালের যে সংযোগস্থল, মূলত সেখানেই মেদ জমে। মুখের ধারালো ভাব নষ্ট হয়। মুখমণ্ডল ক্রমশ গোল হতে শুরু করে। তবে নিয়মিত এই ভঙ্গি অভ্যাস করলে চোয়ালের গঠন সুন্দর হয়।
২) দাঁতের সেটিং সুন্দর না হলে মুখের গঠনও বিকৃত হয়ে যায়। গুচ্ছ গুচ্ছ টাকা খরচ করে অনেকেই দাঁতের সেটিং ঠিক করাতে দন্ত্যচিকিৎসকের কাছে যান। দাঁতের গঠন সুন্দর করতেও সাহায্য করে এই ভঙ্গিটি।
৩) নাক ডাকার জন্য পাশের মানুষটি ঘুমোতে পারছেন না? ‘মিউয়িং’ কিন্তু এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্লিপ অ্যাপনিয়া, সাইনুসাইটিসের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও এই ভঙ্গি অভ্যাস করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কী ভাবে করবেন?
· প্রথমে ধীরস্থির হয়ে মাটিতে বা চেয়ারে বসুন। মুখ যেন বন্ধ থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস নিন স্বাভাবিক ভাবে।
· মুখের ভিতর চোয়ালের অবস্থান এমন হবে, যাতে জিভ টাগরা বা তালু স্পর্শ করতে পারে।
· জিভের একেবারে সামনে অংশ, অর্থাৎ ডগার দিকটি দাঁতের উপরের পাটির কাছাকাছি থাকবে। দাঁত স্পর্শ করলেও সমস্যা নেই। এই অবস্থানে থাকুন ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড।
· এ বার মুখের ভিতর যে অবস্থানে জিভটি রেখেছেন, সেখানে রেখেই ধীরে ধীরে জিভটি উপর দিকে ঠেলতে হবে।
· বাইরে থেকে দেখলে বুঝতে পারবেন, মুখের যে অংশে ‘ডবল চিন’ থাকে, ওই অংশটি ওঠানামা করবে।
· প্রথমে ১০ বা ২০ সেকেন্ড, পরে তা ৩০ সেকেন্ড পর্যন্ত অভ্যাস করা যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy