কোষ্ঠকাঠিন্যের সুরাহায় পাকা পেঁপের সঙ্গে কী মেশাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
পর্যাপ্ত জল খাচ্ছেন। গরম থেকে বাঁচতে ‘ওআরএস’ বা নানা রকম ফলের রসকেও সঙ্গী করেছেন। তবু কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাচ্ছে না। প্রায় দিনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কমোডে বসে সময় নষ্ট হয়। ঘরোয়া নানা রকম টোটকা, ইসবগুল খেলে সায়মিক আরাম মেলে, কিন্তু এই টোটকা দীর্ঘমেয়াদি নয়।
সমস্যা নিরাময়ের জন্য পুষ্টিবিদেরা অনেক সময়ে পাকা পেঁপে খেতে বলেন। কারণ, পেঁপের মধ্যে রয়েছে ফাইবার। এই ফলের মধ্যে জলের পরিমাণও বেশি। এ ছাড়া পাকা পেঁপের মধ্যে এমন এক ধরনের উৎসেচক রয়েছে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে। তবে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাঁদের মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে তাঁদের কিন্তু শুধু পাকা পেঁপে খেলে কাজ হবে না। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সে ক্ষেত্রে পাকা পেঁপের সঙ্গে মেশাতে হবে চিয়া বীজ। তবেই নিরাময় করা সম্ভব।
আসলে, চিয়া বীজ প্রাকৃতিক ল্যাক্সেটিভের কাজ করে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই বীজ গুরুত্বপূর্ণ। শরীরে জমা টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে চিয়া। পেঁপে এবং চিয়া— দুটির মধ্যেই ফাইবার রয়েছে। তাই মারাত্মক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও নিরাময় করতে পারে এই টোটকা।
পাকা পেঁপে এবং চিয়া বীজ খাবেন কী ভাবে?
প্রথমেই চিয়া বীজ ভাল করে ধুয়ে নিন। ছোট একটি পাত্রে সামান্য জল দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন চিয়া। পরের দিন পাকা পেঁপে কেটে ভিজিয়ে রাখা চিয়া উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন। আবার, পাকা পেঁপে দিয়ে তৈরি স্মুদির মধ্যেও মিশিয়ে নিতে পারেন এই বীজ।
কখন খাবেন এই দাওয়াই?
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই সকালে খালি পেটে পাকা পেঁপে খেয়ে থাকেন। একই ভাবে চিয়া বীজের সঙ্গে মেশানো এই ফল সকালে খালি পেটে খেতে পারলে উপকার মিলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy