Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Sleep Apnea

স্লিপ অ্যাপনিয়া সারাতে খাওয়ার ওষুধ বানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা, ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ, শ্বাসকষ্ট কমবে

এতদিন স্লিপ অ্যাপনিয়া সারাতে তেমন কোনও কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল না। প্রথম বার ওষুধ তৈরি হচ্ছে।

New Drug offers hope to cure Sleep Apnea

স্লিপ অ্যাপনিয়া সারাতে ওষুধ আসছে। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৪ ১২:৪৭
Share: Save:

হৃদরোগ, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন নিয়ে এখনকার দিনে সচেতনতার প্রচার অনেক বেশি। সেই সঙ্গে রয়েছে স্থূলত্বের সমস্যা। বড় বড় রোগগুলি নিয়ে চর্চা করতে গিয়ে স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা অনেক পিছনে চলে যায়। অথচ ঘুমের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণই হল এই স্লিপ অ্যাপনিয়া। এতদিন স্লিপ অ্যাপনিয়া সারাতে তেমন কোনও কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি ছিল না। প্রথম বার স্লিপ অ্যাপনিয়ার কষ্ট কমানোর ওষুধ তৈরি করছেন গবেষকরা।

আমেরিকার বোথওয়েল রিজিওনাল হেলথ সেন্টারের ডিরেক্টর চিকিৎসক ডেভিড খুলম্যান ও তাঁর টিম স্লিপ অ্যাপনিয়ার ওষুধ তৈরি করছেন। ওষুধটির নাম এডি-১০৯। এখনও সেটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি মানুষের শরীরেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। ডেভিড জানিয়েছেন, এতদিন স্লিপ অ্যাপনিয়ার সমস্যা দেখা দিলে বিশেষ এক রকম যন্ত্রের সাহায্যে পাইপ দিয়ে রোগীর শরীরে অক্সিজেন ঢোকানো হত। সেই পদ্ধতি খুবই জটিল ও ব্যয়সাপেক্ষ। কিন্তু খাওয়ার ওষুধ কার্যকরী হলে বহু মানুষের উপকার হবে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসাও অনেক সহজ হবে।

গবেষকরা বলছেন, স্লিপ অ্যাপনিয়া হল শ্বাস-প্রশ্বাসের এক রকম ব্যধি। ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসে। শ্বাসের গতি অনিয়মিত হয়ে যায়। শ্বাস নিতে ও ছাড়তে সমস্যা হয়। কখনও আচমকা দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হতে পারে রোগীর। আর ঘুমিয়ে পড়ার পর এমনিতেই ঘাড় ও গলার পেশি শিথিল থাকে, সুতরাং হঠাৎ যদি শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রক্রিয়া বাধা পেয়ে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, তা হলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। স্লিপ অ্যাপনিয়ার উৎস এবং তার প্রতিকারের নানা বিষয় নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজুড়েই।

এতদিন এই অসুখের তেমন কোনও ওষুধ ছিল না। প্রথম বার ওষুধ তৈরি করে তার পরীক্ষা করছেন বিজ্ঞানীরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Sleeping Disorder Sleeping Pill Sleep Disorders
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE