টক দই খেলে কি ডায়াবিটিস হয় না?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর অজানা। তবে সম্প্রতি আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (এফডিএ) নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছে, টক দই পরিমাণ মতো খেলে টাইপ ২ ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে। রক্তে শর্করা বেশির দিকে থাকলেও টক দই খাওয়া শুরু করতে পারেন। প্রি-ডায়াবেটিকদের জন্য শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই উপকারী হতে পারে টক দই।
‘দ্য জার্নাল অফ নিউট্রিশন’-এ এই বিষয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এফডিএ জানিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২২ সাল অবধি একটি সমীক্ষা চালানো হয়। তাতে দেখা যায়, নিয়ম করে পরিমাণ মতো টক দই যাঁরা খান, তাঁদের ডায়াবিটিস হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ২০ থেকে ৪০ শতাংশ কম। নিয়ম করে না খেতে পারলেও সপ্তাহে অন্তত তিন দিন যাঁরা এক কাপের মতো হলেও টক দই খান, তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি, প্রোটিন, ভিটামিনের ভারসাম্যও বজায় থাকে। ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।
আরও পড়ুন:
দই কী ভাবে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে?
গবেষণা বলছেন, দইয়ে থাকা উপকারী ব্যাক্টেরিয়া (প্রোবায়োটিক) অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে। পাশাপাশি, শরীরের প্রদাহ কমাতে পারে, যা টাইপ ২ ডায়াবিটিসের দিকে গড়াতে পারে। টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ে অবস্থিত ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। কিন্তু শরীর ইনসুলিন গ্রহণে বাধা দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। টক দই খেলে এই সমস্যা হয় না। রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং টক দইয়ে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে, শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। তবে টক দই খেতে হলে ঘরে পাতা দই-ই ভাল।